পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়ে ওঠে নি। সে চেয়েছিল। খেলা করতে, আমিও চেয়েছিলাম তাই। অন্তরের যোগ না থাকায় তাই তার অমন রূপও আমার । অন্তরে রেখাপাত করতে পারেনি । চিত্রার রূপের সম্পর্শে আমার সেই জ্বালাভের রূপপিপাসা তেমন ভাবে সাড়া দিল না। তাকে পাবার কামনা অপূর্ব মধুর বেদনার রূপ নিয়ে আমার তন্তরে ভরে গেল। প্ৰথম দর্শনে ভালবাসা কাব্যের কথা ; সে সব কিছু নয়। কিন্তু কেমন যেন একটা নতুন রকম অনুভূতি। চিত্রাকে চাই, কিন্তু এতদিন যে ভাবে চেয়েছি সে ভাবে নয়। মনে হল কোথায় যেন একটি ফুলের কুড়ি ফুটে উঠছে, আমার এতদিনকার চাওয়া দিয়ে চিত্রাকে কামনা করা মাত্র সে কুড়িটি ঝলসে পুড়ে যাবে, ফুটুবে না। অনেক রাত পৰ্য্যন্ত ডেক-এ বসে নিজের অন্তরকে একবার বুঝবার চেষ্টা করলাম। কৃষ্ণপক্ষের রাত্রি, আকাশে অনেক তারা। কোনটি শুধু চেয়ে আছে, যেন সে মহাশূন্যে চিরদিনের জন্য তার স্থান নির্দিষ্ট হয়ে গেছে তার সীমা কোথায় গিয়ে মিশেছে সে কথা ভেবে পলক হারিয়ে ফেলেছে। কোনটি চপল বিরাট আকাশের বিপুল গাম্ভীৰ্য্যের মাঝে থেকেও চোখ টিপে টিপে কেবলি ইশারা করে চলেছে ! নিজেকে বড় ছোট, বড় অপদাৰ্থ মনে হতে লাগল। কেউ বলে দিল না। কিন্তু অন্ধকারে বসে একটা অহেতুক বেদনার VOR