পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্ত্ৰে বিশ্লেষণ করে যে সত্য আবিষ্কৃত হল, সে যে সত্য তা অস্বীকার করা চলবে না, কিন্তু সেই সত্যের মাপকাঠিতে মনের যৌবনের বিচার করি কোন যুক্তিতে ? বিকৃত যৌবন দেহের অণুতে পরমাণুতে যে অত্যুগ্র জ্বালা ধরিয়ে দেয়, তারই জের টেনে চলি মনের দোর-গোড়া পৰ্যন্ত । সে যৌবন যতখানি জ্বলে, ধূমোদাগার করে তার চেয়ে অনেক বেশী। সেই ধূমের স্পর্শে মনের শুদ্ধতম, শুভ্রতম শাশ্বত যৌবন মলিন হয়ে যায়। জ্ঞানের হাটে তখন তাকে দেহের যৌবনের সঙ্গে এক দামে বিক্রি করি । আমারি মতন সর্বহারা দুঃখের মাঝে যারা যৌবনের স্নিগ্ধ-শান্ত কমনীয় মূৰ্ত্তির দেখা পেয়েছে, তাদের বুকে লুকিয়ে থেকে যৌবনের দেবতা মানুষের নির্দয় লাঞ্ছনায় কঁাদে । একটু চুপ করে থেকে জগদীশ বল্ল, থাক গে। ও লাঞ্ছনার তো শেষ নেই, সৃষ্টির প্রথম থেকে আজ পৰ্য্যন্ত সমভাবেই চলে उामgछ । *్న জাহাজে চিত্রার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল, কিন্তু ঘনিষ্ঠতার সুযোগ সে দেয় নি। স্পষ্ট বুঝতাম। আমায় এড়িয়ে চলতে চায়। আলাপ করত ভাসা ভাসা ভাবে, আন্তরিকতার পরিচয় ८°उं । । জাহাজ যেদিন বোম্বে পেঁৗছবে তার পূর্ব দিন একটি ঘটনায় আমার প্রতি তার মনের ভাব পরিবৰ্ত্তিত হ’য়ে গেল। অন্ততঃ তার বাইরের ব্যবহারে অনেকটা আন্তরিকতা দেখা গেল । V93