পাতা:ত্রিপুরার স্মৃতি.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 এই স্থান হইতে অল্প দূরে যে এক অনুমুচ্চ সমতল মৃত্তিকাস্তূপ অবস্থিত, তদুপরি একটী ইষ্টক নির্ম্মিত চতুষ্কোণ ক্ষুদ্র বেদীর অনুরূপ পদার্থ পরিলক্ষিত হয়। তৎসম্বন্ধে স্থানীয় লোকে এইরূপ কহে—উক্ত গ্রাম মুসলমান ভূস্বামীদিগের অধিকারে থাকিবার সময় এই স্থানে যে ইমামবাড়া নির্ম্মিত হইয়াছিল, ঐ বেদী সদৃশ পদার্থটি তাহারই ধ্বংসাবশিষ্ট অংশ। অদ্যাপি পল্লীনিবাসী মুসলমানগণ কোন বিশেষ যাবনিক পর্ব্বোপলক্ষে সায়াহ্নে তদুপরি দীপ প্রদান করে বলিয়া শ্রুতি গোচর হয়।

 অত্রস্থ লোকমুখে এইরূপ অবগত হওয়া যায় যে এতদঞ্চল হইতে কতিপয় প্রস্তরনির্ম্মিত মূর্ত্তি উদ্ধৃত হইয়াছিল। তৎসমুদয়ের সহিত প্রাপ্ত “মহাভিনিস্ক্রমণ” (মহাভিনিখকমণ) মূর্ত্তিটী ঢাকার কৌতুক-সংগ্রহালয়ে প্রেরিত হইয়াছে। অবশিষ্ট মূর্ত্তিনিচয় ইদানীং কুমিল্লা নিবাসী জনৈক ভদ্রলোকের বাসস্থান-সমীপে অযত্নে বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে। তৎসমুদয়ের মধ্যে সুচারুরূপে নির্ম্মিত একটি দ্বিভূজ নরমূর্ত্তিই উল্লেখ যোগ্য। উহা সূর্য্যমূর্ত্তি বলিয়া অভিহিত হয়। ইহার সন্নিধানে যে এক প্রস্তর নির্ম্মিত গণেশ মূর্ত্তি আছে, তাহার নির্ম্মাণ কৌশলও প্রশংসার উপযুক্ত। উহার ভুজচতুষ্টয় ও শুণ্ডের কিয়দংশ ভগ্ন হইয়াছে।


ত্রিপুরার স্মৃতি