পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ত্রিসন্ধি

'8 ত্রিসন্ধি । পাইবার সকল ! কথাই তাহাতে লিখিত আছে । ইহার পরে সুলভান তাহাকে প্রায় ছয়মাস কাল, কারাগারে বন্দী করিয়া রাখিয়াছিলেন এবং অবশেষে তাহার মন্ত্রীর অনুরোধে তাহাকে মুক্তি দিয়াছিলেন। স্বর্ণাস্তরশোভিত অশ্ব, স্থদের পরিচ্ছদ ও সহস্ৰ স্বর্ণমুদ্রা, এবং ক্রীতদাস ও ক্রীতদাসী প্রভৃতি র্তাহার সম্মানার্থ প্রেরণ করিয়া সুলতান তাহার কারাবাসের দুঃখমোচন করিলেন। অল্বিরুনি-লিখিত ইতিবৃত্ত হইতেই গজুনি-রাজ্যের ও তৎকালীন ইতিহাসের সকল বৃত্তান্ত অবগত হওয়া যায়। সুলতান মাহমুদ যদিচ সামরিক প্রবৃত্তির বশবৰ্ত্তী হইয়৷ অধিকাংশ সময়ে কার্য্য করিতেন, তথাপি তাহার অসাধারণ রসগ্রাহিতা ছিল। তিনি স্বয়ং কাব্য রচনা করিতেন এবং রসপূর্ণ স্থললিত রচনা দর্শন করিলে সৰ্ব্বাগ্রে তাহার সমাদর করিতেন। তাহার সভাকবিগণের মধ্যে কবি ফর্দ সির খ্যাতি সর্বাপেক্ষ অধিক। একদা তাহার রাজসভায় নিশাপুর হইতে একজন অতিথি আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি ফৰ্দ্দসি। কবিদল তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিয়া কহিলেন যে, তাহার সকলেই রাজকবি ; ফৰ্দ্দসি যদি ঐ পদের প্রার্থ হয়েন তবে উহাকে পাদপূরণ করিতে হইবে। তাহারা তিন জনে একটি কবিতার এক এক ছত্র বলিয়া যাইবেন, শেষ ছত্র ফর্দ সিকে পূরণ করিতে হইবে। ফৰ্দ্দসি এমন এক পুরাণ-কথা উত্থাপন করিয়া পাদপূরণ করিলেন যাহা উক্ত কবিগণের অপরিজ্ঞাত ছিল। তাহারা তাহাকে সে সম্বন্ধে প্রশ্ন করিলে তিনি গল্পচ্ছলে