পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ബം ত্রিসন্ধি । +- ২৩ বিজ্ঞান, ইতিহাস প্রভৃতি বিষয় সকলের আলোচনা থাকিত। এতদ্ভিন্ন একখানি পারস্য পত্রিকাও তিনি সম্পাদন করিয়াছিলেন, এরাপ আশ্রত হওয়া যায় । বহুকাল হইতেই রামমোহন রায়ের ইংলণ্ডে গমন করিবার আকাঙক্ষা ছিল । অবশেষে ১৮৩০ খৃষ্টাব্দে তাহার সেই বহুকালের মনস্কামনা পূর্ণ হইল। ১৮৩০ খৃষ্টাব্দের নবেম্বর মাসে রামমোহন ইংলণ্ড যাত্রা করিলেন । দিল্লীর সম্রাটুকে ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানি কয়েকটি বিষয়ে অধিকারচু্যত করাতে তিনি রামমোহনকে র্তাহার হইয়া আবেদন করিবার নিমিত্ত ভারাপণ করেন। দিল্লীর সম্রাটের নিকট তিনি “রাজা” উপাধি প্রাপ্ত হইলেন । বস্তুতঃ বাদশাহের সাহায্যেই তাহার ইংলণ্ড গমনের সুযোগ হইল । রামমোহন রায়ের ইংলণ্ড গমনের পূর্বে ইংলণ্ডে ও ফ্রান্সে অনেকেই তাহার নাম জ্ঞাত ছিলেন। ইংলণ্ডের অনেক পত্রিকায় তাহার সম্বন্ধে লেখা বাহির হইয়াছিল। র্তাহার ইংরাজী বেদান্ত ও অন্যাস্য রচনা পণ্ডিতসমাজে পরিচিত ছিল। রামমোহন র্তাহার পালিতপুত্র রাজারাম ও অন্য দুইজন ভারতবাসী সমভিব্যাহারে সমুদ্ৰ-যাত্রা করিলেন । জাহাজে অধিকাংশ সময়েই তিনি অধ্যয়ন করিতেন । সর্ববদ। তাহার প্রফুল্ল মুখ ও উৎসাহবৰ্দ্ধক আলোচনা শুনিয়া জাহাজের সকল লোকেই তাহার প্রতি আকৃষ্ট হইয়াছিল। প্রায় চারি মাস ত্রয়োবিংশ দিবস অন্তে জাহাজ লিভারপুল বন্দরে পৌছিল ।