পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখিয়া, এখন তাহাকে দেখিলে আর আমার বড় ভয় হয় না, পূৰ্ব্বেকার চেয়ে মনে সাহসও অনেক হইয়াছে। নিকা করিবার কথা বলিলে, এখন তাহাকে একপ্রকার দূর দূর করিয়া দিই। একদিন কিন্তু সে ভয়ানক রাগিয়া গেল। শরীর ফুলিয়া দ্বিগুণ হইল, ভূত না হইলে হয়ত ফাটিয়া মরিয়া যাইত। সমুদয় শরীর হইতে অগ্নিকণা বাহির হইতে লাগিল। রাগে নিজের হাতটি খুলিয়া লইল, অপর হাত দিয়া ভোঁ-ভো করিয়া ঘুরাইতে লাগিল। পা দুইটা খুলিয়া লাইল আর সেইরূপ ঘুরাইল। দুইটি হাত, দুইটি পা ঘুরান হইলে, চক্ষু-কোেটর হইতে চক্ষু দুইটি বাহির করিয়া লইল, আর যেরূপ লোকে ভাঁটা লুফিয়া থাকে সেইরূপ দুইহাতে লুফিতে লাগিল। তারপর সমস্ত মুগুটি খুলিয়া লইল, হাতে লইয়া বলিল, “সুন্দরি! যদি তুমি আমাকে বিবাহ না কর, তাহা হইলে তোমার সাক্ষাতে আমি এই আপনার মুণ্ডটি আপনি চিবাইয়া খাইব।” কি করিয়া নিজের মুণ্ড নিজে খাইবে, তাহা কিন্তু আমি বুঝিতে পারিলাম না। সে যাহা হউক, আমি বলিলাম,-“তুমি নিজের মুণ্ড নিজেই খাও, আর পরেই খাকি, আমি কেন ভূতকে বিবাহ করিতে যাইলাম? “ভাল চাও তো আমাকে ঘরে রাখিয়া এস।” তখন সে বলিল,— “আচ্ছা! আজ আমি তোমাকে কিছু বলিব না, আজ হইতে একবৎসরকাল তোমাকে কিছু বলিব না। একবৎসর পরে আমাকে নিকা করি ভালই, না কর তোমাকে প্ৰাণে মারিয়া ফেলিব। তোমার স্বামী তোমায় আমাকে দিয়াছে, আমি তোমাকে লইয়া যাহা ইচ্ছা করিব। মনে করিও না। আর কখনও তোমার স্বামীকে তোমায় ফিরিয়া দিব। সেইদিন হইতে আর আমাকে বিরক্ত করে না। রাত্রি হইলে চরিতে যায়, সকাল হইলে বাড়ী আসে, পরে ঐ বড় গৰ্ত্তটিতে শুইয়া সমস্তদিন নিদ্ৰা যায়। মেঘগজর্জনের ন্যায় নাক শুনিতে পাই, আমার কাছে বড় আসে না। কেবল তিন-চার দিন অন্তর একবৃন্ধু মাসিয়া আহারীয় সামগ্ৰী দিয়া যায়, আর জিজ্ঞাসা করে,-"কেমন, এখন তোমার ঠুনুপ্তািন্ত হইয়াছে ত’? কাজি আনিব কি?” গতবার আসিয়া বলিল,—“দেখ, এখন আমি সাৱং মাখি। রং অনেক ফর্সা হইয়া আসিয়াছে। আর কিছুদিন পরে লোকে আমাকে আর পরিবে না। যেখানে যাইব, সকলে বলিবে, “এ লুলু নয়, এ সাহেব-ভূত; কোন র ছেলে হইবে। তখন তুমি আর আমাকে বিবাহ না করিয়া থাকিতে পরিবে না। তখন তুমি বলিবে “আমার লুলু কই? আমার লুলু কোথা গেল?” তখন তুমি বলিবে, ‘আর বিলম্ব সহে না, শীঘ্ৰ কাজি ডাক, শীঘ আমাকে নিকা কর।” কিন্তু তা আমি করিব না। তখন আমি নলপতঃ করিব। নিকা করিবার জন্য তুমি আমার সাধ্য-সাধনা করিবে, তা দেখিয়া আমি বড়ই সন্তোষলাভ করিব। মনে করিব, এ আমাকে বড়ই ভালবাসে, আমি ইহার জীবনসৰ্ব্বস্ব। সকল ভূতেই বলে যে, লুলু সভ্য ভব্য নব্য ভূত। আমি আর আমার গেটে দাদা, দুই জনেই সভ্য ভব্য নব্য। দেখিতে পাও তো, ভোর না হইলে কখনও বাড়ী আসি না। যাই, এখন সাবাং মাখিগো। এই কথা বলিয়া সে চলিয়া গিয়াছে। দু-একদিনের মধ্যে আবার বোধ হয় আসিবে।” আমীর জিজ্ঞাসা করিলেন,-“ইহা কি ভূতের মেসূ না মুফলিসের বাড়ী? অর্থাৎ কিনা, এখানে অপরাপর ভূত থাকে, না লুলু একেলা থাকে?” আমীর-রমণী বলিলেন যে,-“এখানে লুলু ভিন্ন আর কোন ভূতকে দেখি নাই! লুলু একেলা থাকে, এই আমার বিশ্বাস।” আমীর বলিলেন,-“এখন সকল কথা বুঝিলাম, ঈশ্বর আমাদের প্রতি কৃপা করিবেন। কিন্তু কিরূপে যে বিপদ হইতে উদ্ধার হইব, তাহা জানি না। আপাততঃ আমার বড়ই ক্ষুধা পাইয়াছে। যদি কিছু খাবার থাকে তাহা হইলে আমাকে দাও।” আমীর-রমণী বলিলেন, “খাবারের এখানে ४० *jizरु ভূত sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro SS