পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুমতি প্রার্থনা করিতে লাগিলেন। অবশেষে সম্রাট বলিলেন,- “যদি তুমি একান্তই রাক্ষসের সহিত যুদ্ধ করিতে গমন করিবে, তাহা হইলে আমিও সসৈন্যে তোমার সহিত গমন করিব। তোমাকে একেলা আমি দুরন্ত রক্ষসের বিরুদ্ধে পাঠাইতে পারিব না। আমি বৃদ্ধ হইয়াছি; কিন্তু জীবনের যাহা কিছু অবশিষ্ট আছে, স্বদেশের ও স্বজাতির হিতের নিমিত্ত তাহা আমি বিসর্জন করিব।” রাইকো উত্তর করিলেন,- “না মহারাজ! তাহা হইবে না। আমার সহিত আপনি যাইলে, অথবা সৈন্য প্রেরণ করিলে, কোন উপকার হইবে না। রাক্ষসগণ মায়াবলে যুদ্ধ করে, বাহুবলে তাহারা পরাজিত হইবে না। কৌশলে তাহাদিগকে বধ করিতে হইবে। সেজন্য মিনামোটো ক্ষত্রিয়-কুলোদ্ভব তিন জন বীরকে কেবল সঙ্গে লইয়া, আমি রাক্ষসের বিরুদ্ধে গমন করিব।” সম্রাটকে অগত্যা সেই প্ৰস্তাবে সম্মত হইতে হইল। সম্রাটের নিকট বিদায় লইয়া, রাইকো প্রথম দেব-মন্দিরে গমন করিয়া, যথাবিধি পূজা দ্বারা দেবতাদিগকে পরিতুষ্ট করিলেন। তাহার পর তাহার তিন জন সঙ্গী ও তিনি নিজে সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করিলেন। জাপানে সন্ন্যাসীদিগকে যম বুশি বলে। যমবুশিগণ কিছুমাত্র সম্বল সঙ্গে না লইয়া পাহাড়-পৰ্ব্বত পৰ্যটন করে। সাধু বলিয়া তাহাদিগের কেহ অনিষ্ট করে না; বরং গৃহস্থ্যগণ আহারাদি প্ৰদান করিয়া, তাহাদের সন্তোষভাজন হইতে চেষ্টা করে। রাইকো ও তাঁহার সঙ্গিগণ স্কন্ধে একটি করিয়া বুলি লাইলেন। ঝুলির ভিতর লীেহনিম্মিত বৰ্ম্ম ও দুই হস্তে ধারণোপযোগী খড়গ লুক্কায়িত রাখিলেন। এইরূপে সজ্জিত হইয়া রাইকো, রাক্ষসের দুর্গ /মীক্লা করিলেন । যতই তাহারা অগ্রসর হইতে লাগিলেন, রাষ্কষ্টর্সর তাহারা শুনিতে লাগিলেন। তাঁহারা রক্ষঙ্গুেরুদুর্গে যাইতেছেন শুনিয়া, সকলেই তাঁহাদিগকে নিষেধ করিতে লাগিল। সকলেই ব: S করে না। একবার তাহাদের হাতে পড়িল আর রক্ষা নাই, নিশ্চয় তাহারা খাইয়া ফেলবে।" রাইকো উত্তর করিলেন,- “আমাদের প্রাণ যায়,-তাহাও স্বীকার। হয় রাক্ষসগণকে আমরা নিহত করিব আর না হয়, রাক্ষসগণের হস্তে আমরা নিহত হইব। বৃদ্ধাবস্থায় জীৰ্ণ-শীর্ণ হইয়া, রোগে নানারূপ কষ্টভোগ করিয়া মৃত্যু অপেক্ষা পরাহিতে জীবন বিসর্জন করাই শ্ৰেয়ঃ।” লোককে এইরূপ উত্তর দিয়া, রাইকো ও তাঁহার বন্ধুগণ পথপৰ্যটন করিতে লাগিলেন। বহুদিন পথ চলিয়া ও নানাস্থান অতিক্ৰম করিয়া, ক্রমে তাঁহারা সুনিযোশি প্রদেশের ভিতর প্ৰবেশ করিলেন। রাক্ষস দ্বারা উপদ্রবের চিহ্নসকল সেই স্থান হইতে আরম্ভ হইল। ভয়বিহবল পলায়নপর সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের সহিত তাঁহাদের সাক্ষাৎ হইল। তাহারা বলিল,- “যে রাক্ষসের ভয়ে জন্মভূমি পরিত্যাগ করিয়া, প্ৰাণ লইয়া আমরা পলায়ন করিতেছি, তোমরা সেই রাক্ষসের মুখে যাইতেছ! ছিঃ ছিঃ! এমন কাজ কখন করিও না। মিছামিছি কেন প্ৰাণ হারাইবে? शुद्ध शिड़िशा शाv3 ।" বলা বাহুল্য যে, রাইকো তাঁহাদের নিষেধবাক্য শুনিলেন না। তিনি আরও অগ্রসর হইতে লাগিলেন। ক্রমে জনশূন্য ভস্মীভূত নগর ও গ্রাম তাঁহাদের নয়নপথে পতিত হইতে লাগিল। অবশেষে একখানি গ্রামে গিয়া তাঁহারা উপস্থিত হইলেন। সে গ্রামে একটিও মানুষ কি গ্ৰাম্য পশু ছিল না; আর সে-স্থানের সমুদয় গৃহ রাক্ষসেরা দগ্ধ করিয়া ফেলিয়াছিল। গ্রামের পথঘাট ও ভক্ষ্মীভূত গৃহের প্রাঙ্গণ-সমুদয় নর-শোণিত প্লাবিত হইয়াছিল। এই স্থানে কোনরূপে 6ኮዪኃ8 fi:Ilă zi, o ga se - www.amarboi conf**