পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাত্রিযাপন করিয়া তাহারা আরও অগ্রসর হইতে লাগিলেন। এখন হইতে আর তাহদের জনমানবের সহিত সাক্ষাৎ হইল না। তাহারা দেখিলেন যে, রাক্ষসের উপদ্রবে। এই জনাকীর্ণ প্রদেশ এখন একবারে জনশূন্য মরুভূমিতে পরিণত হইয়াছে। বন, উপবন, পৰ্ব্বত, প্ৰান্তর, হ্রদ, নদী অতিক্রম করিয়া, তাহারা পথ চলিতে লাগিলেন। সেই জনশূন্য দেশে আহার-অভাবে তাঁহাদের বড়ই কষ্ট হইতে লাগিল। ক্রমে তাহারা প্রস্তরপূর্ণ কণ্টকাবৃত এক পৰ্ব্বতশ্রেণীর নিম্নে গিয়া উপস্থিত হইলেন। সে-স্থান হইতে দূরে এক অত্যুচ্চ গিরিশিখরে রাক্ষসরাজার দুর্গ তাঁহাদের নয়নগোচর হইল, কিন্তু পথ ক্রমে এতই দুৰ্গম হইয়া উঠিল যে, আর তাহারা অগ্রসর হইতে পারিলেন না। পথ-শ্ৰান্তিতে ক্লান্ত ও ক্ষুৎপিপাসায় ব্যথিত হইয়া, তাহদের শরীর অবসন্ন হইয়া পড়িল । আগে যাইতে আর তাঁহাদের পা উঠিল না। তাহারা সেই স্থানে বসিয়া পড়িলেন। এমন সময় নিকটস্থ সামান্য একটি পৰ্ব্বতের চূড়ায় তাহারা এক বৃদ্ধকে দেখিতে পাইলেন। তপ্তকাঞ্চনের ন্যায় তাহার শরীর ছিল, শুভ্ৰবর্ণের জটাজুটে তাহার মস্তক পরিশোভিত ছিল ও শুভ্ৰবর্ণের শ্মশ্রু দ্বারা তাঁহার মুখমণ্ডল আবৃত ছিল। পৰ্ব্বত হইতে অবতরণ করিয়া রাইকোর সম্মুখে তিনি দণ্ডায়মান হইলেন। তাঁহার উজ্জ্বল দেহ ও প্ৰসন্নমূৰ্ত্তি দেখিয়া রাইকো বিবেচনা করিলেন যে, ইনি সামান্য ব্যক্তি নহেন। এইরূপ মনে করিয়া তিনি ও তাঁহার সঙ্গিগণ। ভক্তিভাবে তাহার চরণে প্ৰণিপাত করিলেন। অর্কুসুমধুর স্বরে বৃদ্ধ জিজ্ঞাসা করলেন- "বস্তৃঃ তােমরা কে? এই রাক্ষস ভয়স্কুল প্রদেশ দিয়া তোমরা কোথায় যাইতেছ?” যোড়হন্তে রাইকো উত্তর করিলেন,- “প্ৰ

  • ভুধু এই দাসের নাম যোরিমিৎসু, কিন্তু রাইকো

বলিয়া সকলে আমাকে সম্বোধন করে । མོའི་ ক্ষত্ৰিয়কুলের কুলপতি, আর ইহারা তাহার জ্ঞাতি ও বন্ধু। শিউতেন-দোঁজি দুৰ্গুসর দুৰ্গে দাস গমন করিতেছে।” বৃদ্ধ বললেন– “পুত্র রাইকাে স্ট্রেই ক দেখিয়া আজ আমি পরম সন্তোষলাভ করিলাম । আমি মনুষ্য নহি, এই সুমিযোশি প্রদেশের আমি প্রদেশ-দেবতা। রাক্ষসের জ্বালায় যেরূপ এ প্রদেশের অধিবাসিগণ উৎপীড়িত হইয়াছে, আমি ও আমার অধীনস্থ যাবতীয় গ্ৰাম্য-দেবতাগণও সেইরূপ উৎপীড়িত হইয়াছেন। দেশ পরিত্যাগ করিয়া সমুদয় লোক পলায়ন করিয়াছে। দিনান্তে আমাদিগকে একটি ফুল প্ৰদান করে, এমন লোক এদেশে নাই। পূজা-অভাবে আমাদের দেবদেহ জীর্ণ ও শীর্ণ হইয়াছে, অস্থিচৰ্ম্মসার হইয়া আমরা পথে পথে ভ্ৰমণ করিতেছি। অসামান্য সাহস সম্পন্ন নিৰ্ম্মলচিত্ত মনুষ্যের সহায়তা ব্যতীত রাক্ষসের মায়াজাল আমরা ছিন্ন করিতে পারি না। বৎস রাইকো! তুমি সেই প্রকৃতির লোক। বহুদিন হইতে তোমার প্রতীক্ষায় আমি কালক্ষেপ করিতেছি।” রাইকো বলিলে,— “বাবা। তবে এক্ষণে আশীৰ্ব্বাদ করুন, রাক্ষসেরা দুর্গে প্রবেশ করিয়া যেন দুৰ্ব্বত্তাদিগকে বধ করিতে সমর্থ হই।” প্রদেশ-দেবতা বলিলেন,- “পুত্র রাইকো বাহুবলে তুমি রাক্ষসগণকে বধ করিতে পরিবে: না। কৌশলে তুমি তাহাদিগকে বধ করিবে। যখন তুমি রাক্ষসেরা দুর্গে প্ৰবেশ করিবে, অদৃশ্যভাবে তোমার সঙ্গে সঙ্গে থাকিয়া আমি ও যাবতীয় গ্ৰাম্য দেবতাগণ তোমাদের সহায়তা করিব । যাহা হউক, আজ তোমরা আমার অতিথি হইয়া এই স্থানে রাত্রিযাপন কর। পানভোজনে পরিতৃপ্ত হইয়া, বিশ্রামে পথ-ক্লান্তি দূর করিয়া, কল্য প্রাতঃকালে পুনরায় 巫函冢 Öዩኃ(አ sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro