পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৭৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ ঘরে এখন আসেন, তাহা হইলে আপনি আড়াল করিয়া দাঁড়াইবেন।” সোনা-বীে কিছুক্ষণ ঘরের ছাদের দিকে একদৃষ্টিতে চাহিয়া রহিলেন। তাহার পর তিনি বলিলেন, — “বড় অন্ধকার!! ঐ কড়িকাঠের ভিতর সোনার ইট আছে। সেই জন্য দুইটি মোটা মোটা কড়ি অকারণ একস্থানে রহিয়াছে। আমি স্ত্রীলোক । উচ্চ কড়িকাঠের নিকট কি করিয়া আমি উঠিব? অন্ধকারে কি করিয়া আমি দেখিব?” বড়ালমহাশয় তৎক্ষণাৎ বাহিরে আসিয়া বারেণ্ডা হইতে একজন চাকরকে একটা আলো ও একটা বাঁশের ছোট মই বা সিঁড়ি আনিতে বলিলেন। বিজয়বাবু ভাবিতে লাগিলেন,— “কড়িকাঠ! বেণীবাবু মৃত্যুকালে ঝমৃঝমি গাছের কথা বলিয়াছিলেন। সে সময় তাহার ঠিক জ্ঞান ছিল না। দ্রব্যের নাম তিনি ভুলিয়া গিয়াছিলেন। এক দ্রব্যের নাম করিতে অন্য দ্রব্যের নাম করিয়াছিলেন। কড়ি নাড়িলে ঝমৃঝম করিয়া শব্দ হয়। কড়িকাঠ’ নাম তিনি মনে করিতে পারেন নাই। সেজন্য বােধ হয় ঝমৃঝমির গাছ তিনি বলিয়াছিলেন। তাহার পর বালিকাদের সম্বন্ধে উপকথা। এক বাঘের একটি কড়িগাছ ছিল, ফলস্বরূপ কড়ি ফলিয়া গাছটি অবনত হইয়াছিল। কয়েকটি বালিকা সেই কড়ি পাড়িতে গিয়াছিল। একটি বালিকা গাছের উপর উঠিয়াছিল। অপর কয়জন তলায় কড়ি কুড়াইতেছিল। এমন সময় বাঘ আলুম শব্দে আপনার গাছতলায় আসিয়া উপস্থিত হইল। তলায় যে বালিকাকয়জন ছিল, তাহারা দৌড়িয়া পলায়ন করিল, গাছের উপর যে ছিল, সে পলাইতে পারিল না। গাছে বসিয়া সে কাদিতে লাগিল। একফোঁটা চক্ষুর জুল বাঘের গায়ে পড়িল। বাঘ চাটিয়া দেখিল যে, লবণের আস্বাদ!-ইত্যাদি!" ঝমােঝমির তাহা আমাকে বুঝাইবার নিমিত্ত, বেণীবাবু এ গল্পের উল্লেখ করিয়াছিলেন। দেখা ? কি হয়!” চাকর আলো ও ছোট একটি বাঁশের সুই/দিয়া গেল। বিজয়বাবু আলো লইয়া ও বড়ালমহাশয় মই লইয়া অন্ধকার ঘরে রলেন । অন্ধকার ঘর অধিক উচ্চ ছিল না। র। মইও বৃহৎ ছিল না। বড়ালমহাশয়ের হাত হইতে মই লইয়া সোনা-বীে আপনি কড়িকাঠের গায়ে সন্নিবেশিত করিলেন। খাদা ভূত ও বিনয়কে আড়াল করিয়া নিম্নে দাঁড়াইয়া বড়ালমহাশয় মই ধরিয়া রহিলেন । আলো লইয়া বিজয়বাবু তাহার পার্শ্ব দাড়াইয়া রহিলেন। মই দিয়া সোনা-বীে একটি কড়িকাঠ হইতে একখণ্ড ক্ষুদ্র তক্তা সরাইয়া ফেলিলেন। কড়িকাঠের গায়ে সামান্য একটি ছিদ্র বাহির হইয়া পড়িল। ছিদ্রের ভিতর হস্ত প্রবিষ্ট করিয়া সোনা-বীে কড়িকাঠের ভিতর হইতে সোনার ইট বাহির করিতে লাগিলেন। ঠিক ইট নহে, চতুষ্কোণ দীর্ঘ কাঠের ন্যায়!! ইংরাজীতে ইহাকে ‘বাবু’ বলে। বিজয়বাবু চুপি চুপি বড়ালমহাশয়কে বলিলেন,- “ইহাকেই চকচকে কাপড় কাচা সাবান বলে বটে; মনে আছে—বেণীবাবু মৃত্যুকালে আমাকে কি বলিয়াছিলেন?” বড়ালমহাশয় ঘাড় নাড়িয়া প্ৰকাশ করিলেন, — “হাঁ, আমার মনে আছে।” অনেকগুলি সেইরূপ সোনার ইট সোনা-বীে নিম্নে নিক্ষেপ করিলেন, তাহার পর কয়েকটা মাটীতে ফেলিয়া দিলেন। আর কিছু আছে কি না, তাহা দেখিবার নিমিত্ত এদিক ওদিকে হাত দিয়া অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন। এই অবসরে বিজয়বাবু পুনরায় বড়ালমহাশয়কে বলিলেন,- “মৃত্যুকালে বেণীবাবু ইহার ছবি আমাকে দিয়াছিলেন। সে ছবি এখনও আমার ዓG S fi:Ilă zi, 3 goi se - www.amarboi conf**