পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৭৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুমি নূতন পত্নী লাভ করিয়াছ।” ডমরুধর বলিলেন,— “তিন বৎসর পূৰ্ব্বে আমি ঘোরতর বিপদে পড়িয়াছিলাম। তৃতীয় পক্ষ বিবাহের সময় আমি সঙ্কটাপন্ন হইয়াছিলাম। গ্রামের লোক, প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব কেহই সে কথা জানে না। মুখ ফুটিয়া আজ পৰ্যন্ত কাহারও নিকট সে কথা আমি প্ৰকাশ করি নাই। মা জগদম্বা আমাকে সে বিপদ হইতে রক্ষা করিয়াছেন। দুৰ্গতিনাশিনী দুর্গার প্রতি লোকের ভক্তি ক্ৰমে লোপ হইতেছে। কলেরা ম্যালেরিয়া বসন্ত প্লেগ তো আছেই, মায়ের প্রতি ভক্তির অভাবে এখন আবার ফুলো রোগ দেখা দিয়াছে, ঘুমন্ত রোগও আসিয়াছে।। জগদম্বার প্রতি ভক্তি থাকিলে লোকের এ সব বিপদ হয় না।” পুরোহিত অপরিস্ফুট স্বরে বলিলেন,- “দুর্গে স্মৃত হরসি ভীতিমশেষজন্তোঃ, স্বস্থৈঃ স্মৃতা মতিমতীব শুভ্যং দদাসি৷ দারিদ্রদুঃখভয়হারিণি! কী ত্বদন্যা, সৰ্ব্বোপকার্যকরণীয় সদাৰ্দচিত্তা৷” হে দুর্গে বিপদে পড়িয়া তোমাকে স্মরণ করিলে জীবগণের ভয় তুমি দূর কর। সুস্থ অবস্থায় তোমাকে স্মরণ করিলে তুমি তাহাকে মঙ্গল কর। হে দারিদ্র্যদুঃখহারিণি! সৰ্ব্বপ্রকার উপকার করিবার নিমিত্ত তুমি ভিন্ন দয়াৰ্দচিত্তা আর কে আছে?” লম্বোদর বলিলেন,- “কিন্তু বিপদটা কি? কি বিপদে তুমি পড়িয়াছিলে?” ডমরুধর বলিলেন,- “এতদিন পরে সে বি থা আজ আমি প্ৰকাশ করিতেছি, শুন ।” ডমরুধর বলিলেন,—“আমার তৃতীয় বিবাহের সময় এ বিপদ ঘটিয়াছিল। আমার বয়স তখন পয়ষট্টি বৎসর। এত বয়সে লোক বিবাহ করে না। তবে আমার ছেলে-বেটা মানুষ হইল না। আমি তাহাকে ত্যাজ্যপুত্র করিলাম। কোথায় সে চলিয়া গেল। সে একটি স্বতন্ত্র গল্প।” শঙ্কর ঘোষ বলিলেন,- “সে গল্প আর একদিন হইবে।” ডমরুধর বলিলেন,— “তাহার পর বিবাহ না করিলে গৃহ শূন্য হইয়া থাকে। কিন্তু বিবাহ করিলেও কি হয়, তা জান তো লম্বোদর?” লম্বোদর উত্তর করিলেন,- “খ্যাচ খ্যাচ, রাত্রি দিন খ্যাচ খ্যাচ ।” ডমরুধর বলিলেন,- “হাঁ, তুমি ভুক্তিভোগী। ঘটনাক্রমে আমার এই বিবাহের কথা স্থির হইয়াছিল। আমডাঙ্গার মাঠে আমার যে বৃহৎ বাগান আছে, সে বৎসর বৈশাখ মাসে সেই বাগানে গিয়া আমি ডাব পাড়াইতেছিলাম। দুই চারি দিন পূৰ্ব্বে আমার পুরাতন উড়ে মালী দেশে গিয়াছিল, ভাইপোকে তাহার স্থানে রাখিয়া গিয়াছিল। সে আমাকে কখন দেখে নাই, ԳԵՀ দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.confািকস্তািন"ৰ "চা" সংগ্ৰহ