পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৮৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাহির হইলাম। পথে দেখিলাম যে, কেষ্টাদের বাড়ীতে হু-হু করিয়া একখানা পান্ধী আসিয়া লাগিল, পান্ধীর ভিতর হইতে কেষ্টার ঠাকুরমা বুড়ী বাহির হইল; তাহার পর লাঠি ধরিয়া ঠিক ঠিক করিয়া গৃহে প্ৰবেশ করিল। বুড়ী কোথায় গিয়াছিল ও কোথা হইতে আসিল, তাহা জানিবার নিমিত্ত আমি সে স্থানে যাইলাম। শুনিলাম যে, গোবৰ্দ্ধনপুর হইতে একজনের বীে লইয়া একখানা পান্ধী নিশ্চিন্তপুরে গিয়াছিল। বীে রাখিয়া খালি পান্ধী সন্ধ্যার পর ফিরিয়া যাইতেছিল। নেকের দোকানে পাস্ত্রী রাখিয়া বেহারগণ তামাক খাইতেছিল। সেই সময় কেষ্টার ঠাকুরমা তেল লইতে দোকানে আসিতেছিল। বোরার ভিতর থাকিয়া যে নেঙটা ভূতটা বলাই চিন্তিকে খাইতে গিয়াছিল, সেই ভূতটা আসিয়া কেষ্টার ঠাকুরমাকে ধাক্কা মারিয়া ফেলিয়া দিল। কিন্তু দোকানে অনেক লোক দেখিয়া কেষ্টার ঠাকুরমাকে লইয়া যাইতে পারিল না। তৎক্ষণাৎ সে বাতাসে মিশিয়া গেল। কেষ্টার ঠাকুরমা উঠিয়া ঘোরতর ভয়বিহ্বল হইয়া, সম্মুখে একখানা পান্ধী ও তাহার দ্বার খোলা দেখিয়া তাহার ভিতর প্রবেশ করিল। তাহার পর দ্বার বন্ধ করিয়া পান্ধীর ভিতর সে অজ্ঞান হইয়া পড়িল। বেহারীগণ তাহা জানিতে পারে নাই। বলাই চিন্তির নিকট ভূতের গল্প শুনিয়া তাড়াতাড়ি পান্ধী তুলিয়া তাহারা চলিয়া গেল। রাত্রি দুই প্ৰহরের সময় তাহারা গোবৰ্দ্ধনপুর পৌছিল। সেই স্থানে গিয়া পান্ধীর ভিতর বুড়ীকে দেখিতে পাইল। কিন্তু ভূতের ভয়ে সে রাত্ৰিতে বুড়ীকে ফিরিয়া আনিতে পারিল না। কারণ, এ সামান্য ভূত নহে, এ নেঙটা গোরা ভূত! আজি প্ৰাতঃকালে বুড়ীকে বাড়ী ফিরিয়া আনিল ॥২অামি ভাবিলাম যে, সামান্য একটা ဇီးဇိုးနှီးနှီးချုံ့၊ ಇಬ್ಬ್ಜ್ಗ রা শিশি-বোতল ক্রয় করে, সেইরূপ একটা লোক সে স্থানে বসিয়া আছে। র হইতে একটা বোতল ও একটা শিশি আনিয়া মেনী তাহাকে দেখাইতেছে। তর ছোট একখণ্ড কাচের ন্যায় কি ছিল । ভিলে তাহা বাহির করিয়া খেলা করিতে আমি দেখিলাম যে, সেই ক্ষুদ্র কাচটাতে পল কাটা আছে, আর সেই পল হইতে নানা বর্ণের আভা বাহির হইতেছে। আমি ভাবিলাম যে, এরূপ কাচ ইহাদের ঘরে কোথা হইতে আসিল, যে স্থান হইতে আসুক, এ সামান্য কাচ নহে। বোতল ও শিশির লোকটা মেনীকে চারিটি পয়সা দিল । ভিলের ভিতর হইতে আমি কাচখণ্ড চাহিলাম। ভিলে দিতে সম্মত হইল না। দুই পয়সা দিয়া তাহা আমি কিনিতে চাহিলাম। তখন মেনী বলিল,—“দাও, দাদা, দাও। কাঁচটুকু লইয়া তুমি কি করিবে? ডমরুবাবু দুই পয়সা দিলে আমাদের ছয় পয়সা হইবে । ছয় পয়সার চাউল কিনিলে দুইদিন তোমাকে পেট ভরিয়া ভাত দিতে পারিব।” ভিলে বলিল,— “বড় ক্ষুধা পাইয়াছে। আমি কলাপাত কাটিয়া আনি?” মেনী বলিল,- “না ভাই, এখন নয়। রও, আগে নেকের দোকান হইতে চাউল কিনিয়া আনি, ভাত রাধি, তখন কলাপাত কাটিয়া আনিও।” শিশিী-বোতল লইয়া লোকটা চলিয়া গেল। কাচখণ্ড লইয়া আমিও বাটী আসিলাম! মনে করিলাম, কখনই কাচ নহে। এবার কলিকাতা গিয়া কোন জহুরীকে দেখাইব। কিন্তু সেই বৈকালবেলা আমি বিষম গোলযোগে পড়িলাম। কলিকাতা হইতে একটি লোক আসিয়াছিল। সে কেষ্টার বাপ, গ্রামের চৌকিদার, শিশি-বোতল ক্ৰেতা; মেনী, ভিলে ও অন্যান্য গ্রামবাসীকে সঙ্গে করিয়া আমার বাটীতে আসিয়া উপস্থিত হইল। কলিকাতার সেই লোকটা ኮr\ኃS দুনিয়ার পাঠক এক হও! ৩ www.amarboi.comৰ্ম্মিািক্যনাথ রচনাসংখই