পাতা:দত্তকৌস্তুভম্.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দত্তকৌস্তুভম। Ն Է, যাহারা ভারবাহী, তাহাদের পক্ষে নানা কর্মে পরিশ্রমই শ্ৰেয়: ; কারণ, উহার (পরিশ্রমের ) দ্বারা পাপপ্রভৃতির অবকাশ ঘটে নী। কর্মপ্ৰায়শ্চিত্ত তাহাদেরই প্রয়োজন। আর, সারগ্রাহিগণের উৰ্দ্ধগমনপ্রবৃত্তিবশতঃ সমন্বয়যোগে আরোহণোচ্ছা প্রবল। তাহারা অতিশীঘ্ৰ “আরূঢ়’ হইয়া পড়ে । “আরূঢ়” হইয়া ক্ৰমশঃ সাধনবলে ও স্বীয় সারগ্রহণ-বৃত্তিব্বলে আতিশীঘ্ৰ “সম্পন্ন” হয়। আরুরুঙ্গুগণের পক্ষে পাপক্ষালনের জন্ত অনুতাপই প্ৰায়শ্চিত্ত, আর আরূঢ়গণের পক্ষে কেবল হরিস্মরণই সেই প্রায়শ্চিত্ত। এস্থলে পরীক্ষিৎ, খটুঙ্গি প্রভৃতির চরিত আলোচনীয়। এইসকল যোগী শুধু কমপর, জ্ঞানপর বা বৈরাগ্যপর নহে। সমন্বয়যোগজ্ঞানের অভাবে অথবা প্ৰমাদ বশতঃ খণ্ডজ্ঞানিগণ বৈরাগ্যাদি-বিষয়ে পৃথগ ভাবে নির্বন্ধসহকারে প্রীতি করিয়া থাকে,---কখনও কম জড় হইয়া বৈরাগ্যের নিন্দ করে, কখনও বা জ্ঞানপরায়ণ হইয়া দেহ, গোহ ও কালত্রের হিতসাধনে বিরক্ত হয়। কিন্তু সমন্বয়যোগিগণ বদ্ধাবস্থায় ভগবৎপ্রতিসাধনের সহায়স্বরূপ দেহ গেহ ও কলত্ৰৈপ্ৰভৃতিঃ সকলের মঙ্গলসাধনে সকল সময়ে যত্নবান হইয়াও উৰ্দ্ধগতিলাভের প্রবৃত্তিবলে বিধিনিষেধসকলের তাৎপৰ্য্যমাত্র গ্রহণপূর্বক ক্ৰমে ক্রমে প্রেমসম্পদ লাভ করিয়া থাকে। যখন যে কম বা যে জ্ঞান ভক্তির সহঁয়ক হয়, তখন তাহাও পরম যত্নে সম্পাদন করে ; যদি কোনও সময়ে দেশকলপাত্ৰ-বিচারে উহ্যদ্বারা ভগবৎপ্রীতির বৃদ্ধি না হয়, তাহা হইলে নিতান্ত হেঁয়বুদ্ধিতে সেই কম বা জ্ঞান পরিত্যাগ ‘ করে-ইহাই পরম রহস্য । এই রহস্তে খণ্ডবুদ্ধি ভারবাহিগুণের প্রবেশ কখনও দেখা যায় না। যোগারাঢ়কালে সেইসকল কষায় ক্রমশঃ দগ্ধ হইতে দেখা যায়। সময়ে সময়ে অকিম ও বিকম্যাদির যে সংঘটন হয়, তাহাও পরিণামে কম নির্বাণীরূপ ফল প্রাপ্ত হয় বলিয়া সাংসারিক দুৰ্গতিরূপ ফলদায়ক হয় না। সম্পন্নাবস্থাপ্ৰাপ্ত Digitized at BRCIndia.com