পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

મહિ যেদিন মিলের চেক ব্যাঙ্কে ভাঙানো হইবে, সেদিন গদাধর। আসিয়া এক হাজার টাকা চাহিয়া বসিলেন। তিনি আজকাল বাড়ীতে বড়-একটা আসেন না। কোথায় রাত কাটান, কি ভাবে থাকেন, ভড়ামশায় বা অনঙ্গ জিজ্ঞাসা করিতে সাহস করে নাই। এবার কিন্তু ভড়ামশায় শক্ত হইয়া বলিলেন-বাবু, এ টাকা বৌঠাকরুণের গহনা-বেচা টাকা। এ থেকে আপনাকে দিতে গেলে, তার সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। তার হুকুম ভিন্ন দিতে পারিনে। গদাধর ভ্ৰ কুঞ্চিত করিয়া বলিলেন-আড়ত আমার নামে, আপনার বৌ-ঠাকরুণের নামে নয়। আমার আড়াতে "অপরের টাকা খাটে কোন হিসেবে ? -সে কথাটা বাবু আপনি গিয়ে তাকে বলুন-আমি এর জবাব দিতে পারবো না । --আপনি টাকা দিয়ে দিন, আমার বড় দরকার, পাওনাদারে ছিড়ে খাচ্ছে। আমি এখন যাই, কাল সকালে আবার আসবে। ভড়ামশায় অনঙ্গকে গিয়া কথাটা জানাইলেন। অনঙ্গ টাকা দিতে রাজী হইল না । তাহার ও তাহার ছেলেদের দশা কি হইবে, সে-কথা স্বামী কি একবার ভাবিয়া দেখিয়াছেন ? ওই দেড় হাজার টাকা ভরসা। বাড়ী ভাড়া দিতে হয় মা-তাই একরকমে সংসার চলিবে কিছুদিন ওই টাকায়। পরদিন অনঙ্গ দুপুরে কলতলায় মাছ ধুইতেছে, হঠাৎ স্বামীকে বাড়ী ঢুকিতে দেখিয়া সে বিস্মিত হইল। গদাধর কাছে আসিয়া বলিলেন-কেমন আছো ? es