পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Greifs --সব তো হয়ে গেল। লুচি ক’খানা ভাজা হয়ে গেলেই নারকোল কুরে বেটে সন্দেশ চড়িয়ে দেবো। ক্ষীর ক’রে রেখেচি-ওগো, আমায় একটু কপপুর আনিয়ে দাও না ! —এখন কি কপপুর পাওয়া যাবে ? আগে থেকে সব বলো না কেন ? এ কি কলকাতা সহর ? রাধানগর ভিন্ন জিনিস মেলে ? দেখি, বিশুর দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েচে কিনা। যদি পাওয়া যায়, পাঠিয়ে দিচ্চি। গদাধরের পৈতৃক-আমোলের ছোট একখানি তালুক ছিল। সেখানে ইহাদের একটি কাছারিঘর ও বহুকালের পুরোনো গোমস্ত। বিদ্যমান । বেশ শীত পড়িয়ছে-একদিন গদাধর স্ত্রীকে একখানা চিঠি দেখাইয়া বলিলেন-ওগো, আজ সকাল-সকাল রান্না ক’রে ফেল তো -আমপাড়া-ঢবঢবির গোমস্ত পত্র লিখেচে । কিছু আদায় তশিল দেখে আসি । অনঙ্গ পছন্দ করে না, স্বামী কোথাও গিয়া বেশিদিন থাকে। কথা শুনিয়া তাহার মুখ শুকাইয়া গেল। স্বামীর মুখের দিকে চাহিয়া বলিল। -কতদিন থাকবে ? --তা ধরে যে-কদিন লাগে । দিন-ছ'সাত হবে বোধ হচ্চে । -এত দিন তো কোনো কালে থাকো না। আমপাড়া-ঢবঢ়বি। শু নেচি অতি অজ-পাড়াগা । খাবে।-দাবে কি ? থাকবে কোথায় ? গদাধর হাসিয়া বলিলেন-সো ভাবনা তোমার চেয়ে আমার কম। নয়, কারণ আমি সেখানে থাকবো। আমাদের সেখানে কাছারিবাড়ী Règ