পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দলপতি করিল। বেলা তখন দুই প্রহর উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে। গদাধরের মা বলিয়া পাঠাইলেন, এমন অসময়ে এখানে কিছু হইবে না। অনঙ্গ শাশুড়ীকে বলিল-মা, একটা কথা বলবো ? --কি বৌমা ? -আমার ভাত এখনও রয়েচে । মাথাটা বড় ধরেচে, আমি আর MBBD DDBDB DS DBDDuSS S SDDD DBBD DBBBBB BB BBDD DD S বধুর এ-কথায় শাশুড়ী। কিন্তু বিরক্ত হইলেন। বলিলেন-ও আবার কি কথা বোমা ? মুখের ভাত ধ’রে দিতে হবে কোন জগন্নাথক্ষেত্তরের পাণ্ডা। আমার এসেচেন । রঙ্গ দেখে আর বঁচিনে । এবেলা না খাও, ওবেলা খাবে, ঢেকে রাখো, মিটে গেল । কিন্তু অনঙ্গ পুনরায় বিনীতভাবে বলিল-তা হোক মা, আপনার পায়ে পড়ি । ওদের দিয়ে দিই। আমার খিদে নেই-সত্যি। শাশুড়ী অগত্যা বধূর কথামত কাৰ্য্য করিলেন। গদাধর অনঙ্গকে এ-সব বিষয়ে কখনো বাধা দেন নাই, তবে অতিরিক্ত উৎসাহও কখনো দেন নাই।--তাহাও ঠিক । নিজে তিনি ব্যবসায়ী লোক, অর্থাগম ছাড়া অন্য-কিছু বড় বোঝেন না-আগে-আগে পড়াশুনার বাতিক ছিল, কারণ গদিয়ান ব্যবসাদার হইলেও তিনি গোয়াড়ি কলেজ হইতে আই, এ, পাশ করিয়াছিলেন। সম্প্রতি টাকা উপাৰ্জনের নেশায় জীবনের অন্য-সব বাতিক ধামা চাপা পড়িয়াছে। অনঙ্গ নিজেও বড়-ঘরের মেয়ে। তাহার পিতা নফরচন্দ্ৰ মিত্র একসময়ে রাধানগর পরগণার মধ্যে বড় তালুকদার ছিলেন। ভুসি মালের র্যাবসা করিয়াও বিস্তুর পয়সা রোজগার করিয়াছিলেন-কিন্তু 8 g