পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দািৰণতি শেষের দিকে বড় ছেলেটি উচ্ছ খিল-প্রকৃতির হইয়া নানারকম বদখেয়ালে টাকা নষ্ট করিতে থাকে, বৃদ্ধও মনের দুঃখে শয্যাগত হইয়া পড়েন। ক্রমে একদিকের অঙ্গ পক্ষাঘাতে অবশ হইয়া যায়। গত বৎসর তঁহার মৃত্যু হইয়াছে। অনঙ্গ তাহার এই দাদাকে খুব ভালোবাসিত। নানারকমে তাহাকে সৎপথে ফিরাইবার চেষ্টা করিয়াও শেষ-পৰ্যন্ত কিছুই হইল না-তাই সে এখন মনের দুঃখে বাপের বাড়ী যাওয়া বন্ধ করিয়াছে। তাহার দাদাও ভগ্নীপতির গৃহে কালে-ভদ্রে পদার্পণ করে । গদাধর বোঝেন ব্যবসা, পয়সা উড়াইবার মানুষ তিনি নহেন ! কোনো প্রকার সৌখিনতাও নাই তাহার। এমন কি, হাতে পয়সা থাকা সত্ত্বেও বাড়ী-ঘর কেন সারাইতেছেন না-ইহা লইয়া ঘরে-পরে বিস্তর অনুযোগ সহ্য করিয়াও তিনি অটল। র্তার নিজের মত এই যে, চলিয়া যখন যাইতেছে, তখন এই অজ পাড়াগায়ে ঘর-বাড়ীর পিছনে কতকগুলো টাকা ব্যয় করিয়া লাভ নাই ! একদিন তঁহার এক আত্মীয় কী কাৰ্য্যোপলক্ষে তাহার বাড়ী আসিয়াছিল। বাড়ী-ঘর দেখিয়া বলিল-গদাধর, বাড়ী-ঘর এমন "অবস্থায় রেখেচো কেন ? -কৌন বলে তো ? -জানিলা নেই-চট টাঙিয়ে রেখেচে, দেওয়াল প’ড়ে গিয়েচে, দরমার বেড়া-তোমার মত অবস্থার লোকে কি এরকম করে ? --তুমি কি বলে ? 8