পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরিয়া তায় অনভিজ্ঞ যুবতী। তবে একটা কথা ভুলি নাই যে আমি হুকুমের দাসী, তাই আজ পৰ্যন্ত হুকুম অমান্য করি নাই। কিন্তু আর বুঝি সে সঙ্কল্প স্থির থাকে না, পশ্চিম দিকে একটা কাল মেঘ উঠিয়াছে। সে মেঘ দরশনে দরিয়ার বক্ষ কেবল উথলিয়া উছলিয়া উঠিতেছে। হয় কুল ভাঙ্গিবো নহে ত দুকুল উপচাইয়া দরিয়া প্লাবন তরঙ্গে ভাসিয়া যাইবে। পারত এই বেলা এস। না আসিলে জানিও, “পড়িয়ে ভব সাগরে ডোবে মা তনু এ তরী ।” এ ছোট ডিঙ্গা ফসিলে আমি কিন্তু দায়ী নহি । নারীই নারীর গতি--- এস দিদি তোমার বাহিনীকে রক্ষা কর।” পত্র ও টেলিগ্রাম পৌছিবার পর কাশীর বাড়ীতে অনেক আলোচনা হইয়া শেষে সুকুমারীই আসিবেন ইহাই স্থির হইল। একদিন সকালে একখানি গাড়ি গড় গড় করিয়া সুকুমারের বাটীর সম্মুখে আসিল, হাতা পার হইয়া গাডুিবারান্দার নীচে আসিয়া দাড়াইল। আর সেই গাড়ি হইতে নামিলেন স্থির বিজলী একটি রূপের প্রতিমা,-বিগলিত কাঞ্চন যেন DBBDBD DDS BBD D LD BBD K0D B BD DD BBD কাণে কাণ ভরপুর করিয়া রাখা হইয়াছে। রূপ। এত অগাধ এত অপরিমেয় যে উপরে ক্ষুদ্র বিচী বল্লরীর খেলা নাই-প্ৰশান্ত প্ৰবীন, ও প্রকৃষ্ট-প্রকৃষ্ট বলিয়া যেন নিত্য প্ৰসন্ন। রূপময়ী নামিলেন সঙ্গে সঙ্গে বালারুণ'তুল্য নিৰ্ম্মল নিষ্কলঙ্ক জ্যোতিৰ্ম্ময় একটি কিশোর বালক ও নামিল। গণেশজননী যেন হেরান্ধের হাত ধরিয়া গৃহে আসিয়া উদিত হইলেন। দরিয়া গাড়ির শব্দ শুনিয়াই নীচে নামিয়া আসিয়াছিল, সুকুমারও মক্কেল ছাড়িয়া সম্মুখে আসিয়া দাড়াইয়া ছিলেন। দ্বাদশ বৎসরের কিশোর নন্দ বাবাকে চিনিয়াই কোলে উঠিল, যেন ধবলগিরির বক্ষে বলেন্দুর প্রতিকৃতি সহসা २७