যজ্ঞ। তা কি প্ৰাণ ধরে পারবে ? সুরমা মুখ তুলিয়া চোখের উপর চোখ পাতিয়া কহিল, আমি কি তেমনি অধম যে হিংসা করব ? যজ্ঞ । হিংসা নাই করলে, কিন্তু নিজের স্থানটি বিলিয়ে দেবে ? সুরমা । বিলিয়ে কেন দিতে যাব । আমি রাজা, রাজাই থাকিব, শুধু একটি মন্ত্রী বহাল করব, দু’জনে মিলে রাজ্যটা চালাতে আমোদ হবে । যজ্ঞ । দেখ ছায়া, বিবাহে প্ৰবৃত্তি নেই, কিন্তু তোমার যদি একজন সার্থীর বড় প্রয়োজন হয়ে থাকে। ত বিবাহ করব। " সুরমা ! হী, নিশ্চয় করা, খুব আ.মাদ হবে ; দু'জনে খুব মনের সুখে দিন কাটাব। মনে মনে কাহল, তিনি কুলে আমার কেউ নাই, আমার মান-অপমান তাও নাই, কিন্তু তুমি কেন আমাকে নিয়ে বিশ্বের কলঙ্ক কুড়াবে ? দেবতা আমার ; তুমি বিবাহ করা, তোমার মুখ চেয়ে আমার সব সাইবে । তিন কলিকাতায় প্ৰতিবাসীর খবর অনেকে রাখে না । যাহারা রাখে। তাহারা বলে, যজ্ঞদত্ত এম, এ, পাস করুক, কিন্তু বাঁকাটে ছেলে । ইশারায় তাহারা সুরমার কথাটা উল্লেখ করে। সুরমা ও যজ্ঞদত্ত মাঝে মাঝে তাহ শুনিতে পায়। শুনিয়া দুইজনে হাসিতে থাকে । কিন্তু তুমি ভাল হও আর মন্দ হও, বড়মানুষ श्छेtछ gऊाभाद्र বাড়িতে লোক আসিবেই, বিশেষ মেয়েমানুষ । কেহ বা বলে, সুরমা, তোমার দাদার বিয়ে দাও না ? সুরমা । দাও না দিদি, একটি ভাল মেয়ে খুজে পেতে । যে সুরমার সখী সে হাসিয়া ফেলে-তাইত, ভাল মেয়ে মেলা শক্ত, তোমার রূপে যার চোখ ভরে আছে-তাের - দূর, পোড়ারমুখী। বলিতে বলিতে কিন্তু সুরমার সমস্ত মুখমণ্ডল স্নেহ ও গর্বে রাজিত হয়ে উঠে । 8ዓ
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৭
অবয়ব