বেী। বাড়িতে সবাই বলাবলি কছিলেন, আমি বড় অলক্ষণ, তাই এখানে আর থাকতে ইচ্ছে করে না। যজ্ঞদত্ত। কোথায় থাকতে চাও ? বেী। কলকাতায় যদি কোন ভদ্র-পরিবারে স্থান পাই-আমি ত সব কাজ কত্তে পারি। যজ্ঞদত্ত । তোমার নিজের বাড়িতে যাবে ? বেী। আমার নিজের বাড়ি ? সে আবার কোথা ? তঁরা কি আর থাকতে দেবেন ? যজ্ঞদত্ত হাত দিয়া স্ত্রীর মুখ তুলিয়া ধরিয়া কহিল, আমার বাড়িতে যাবে ? বেী। যাব। যজ্ঞদত্ত। সুরমা তোমার জন্য বড় ব্যস্ত হয়েছে । সুরমার কথায় তাহার মুখ প্ৰফুল্প হইয়া উঠিল,-ঠাকুরঝি আমায় মনে করেন ? शख्छझद्ध । काद्रन्म द कि । বেী। তবে নিয়ে চলুন। জগতে একরকমের লোক আছে, তাহারা পরের সম্বন্ধে মতামত প্ৰকাশ করিবার বুদ্ধি কিছুতেই খুজিয়া পায় না, কিন্তু এমন একটা সহজ বুদ্ধি রাখে যে, তাহার উপর নির্ভর করিয়া নিজের সম্বন্ধে অপরের পরামর্শ মোটেই প্রয়োজন বোধ করে না। নূতন বৌটি এই শ্রেণীর। সে নিজের কথা নিজেই ভাবে-পরকে জিজ্ঞাসা করে না । ভাবিয়া কহিল, আপনাদের অকল্যাণ করবার বড় ভয় আমার, কিন্তু থাকি বা কোথায় ? না হয়, নামি নীচেই থাকিব, সব কাজকর্ম করতে নীচে থাকাই সুবিধের। যজ্ঞ । উপরে কি তোমার থাকবার ঘর নেই ? বৌ । আছে, কিন্তু নীচের ঘরেই বেশ থাকবো । যজ্ঞদত্ত আয় কোন কথা কহিলনা। ভাবিতে লাগিল যে, খুব ፴ ዓ
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৭
অবয়ব