পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়ীতে দু’বেলা সব চেয়ে সমারোহ হয় 'চারটি রান্নাঘরে । এক ঘরে লোকনাথ ও তার আপনজনের, এক ঘরে পরের “মর্যায়ের সম্পর্কিতদের, এক ঘরে নিরামিষ এবং এক ঘরে বাকী সকলের। শেষে ক্ষম রান্নাঘস) অন্ন ব্যঞ্জনের বৈচিত্ৰ্য বিশেষ কিছু না থাকলেও পরিমাণটা হয় বিপুল। তবু সকলের শেষে যারা খায়, শেষে ছাড়া খাবার অধিকার যাদের নেই, তাদের প্রায়ই সব জিনিষ কম পড়ে। কোনদিন থাকে শুধু আধাপেটা ভাত আর একটু ডাল, কোনদিন থাকে। শুধু দুটি শুকনো নুন ভাত, কোনদিন কিছুই থাকে না । হিসেব করেই দেওয়া হয় সব জিনিষ, কিন্তু সেটা মাথা পিছু হিসেব, খিদের হিসেব নয়। পোস্য পোষা নিয়ে বড় ছেলে হীরেনের সঙ্গে লোকনাথের একটু মতানৈক্য আছে। তবে হীরেনের পক্ষে অনৈক্যটা সম্পূর্ণ নীতিগত ব্যাপার। এই আবেষ্টনীতে মানুষ হওয়ার ফলে বাড়ীব্য অবস্থাটা তার এমন গা সওয়া হয়ে গেছে যে পরিবাৰ্ত্তন ঘটানোর বিশেষ জোরালো তাগিদ সে অনুভব করে না । কেবল এই এক বিষয়ে নয়, বেশ খানিকটা পিতৃভক্তি থাকলেও বাপের সঙ্গে তার তেমন বনে না । ভক্তির সঙ্গে মনের মধ্যে একটা সমালোচনার ভাব থাকাটা তার কারণ। বাপকে সে পুরোপুরি অনুমোদন করতে পারে না। প্রচুর বাৎসল্য থাকা সত্ত্বেও লোকনাথের মনেও ছেলের সম্বন্ধে পুরাপুরি সায় নেই। তবে মতানৈক্য থাকলেও বাপ ছেলের মধ্যে এপৰ্য্যন্ত তেমন মনোমালিন্ত ঘটেনি । অমিলের মধ্যেও মিল থাকায় খানিকটা সামঞ্জস্য হয়েছে, মতামত ও পছন্দ অপছন্দের অতীত পিতৃভক্তি আর বাৎসল্য বাকীটা সামলে CSCC সম্প্রতি উমাপদকে উপলক্ষ করে দু’জনের মধ্যে খাটি একটা মনোমালিন্য ঘটবার উপক্রম দেখা দিয়েছে। কাঠের কারখানায় গোলমাল হবার আগে থেকেই উমাপদর ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা তার কাণে Sbፖ