পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুরিয়ে কুরিয়ে তার দিকে চেয়ে নরেশ চলে গেলে হীরেন বলে, “কোন তুমি ভাবিছ রম্ভা ? হেরন্থের ব্যবস্থা কেষ্ট করবে। ওর মতলব আছে। সব কথা কি ফঁাস করা চলে ? তোমায়। তাই বাজে কথা বুঝিয়ে গেল। কাল দেখো কি হয় ।” রস্তাকে যেন বিদ্যুৎ ছোয়। চোখ দুটি তার জ্বলে ওঠে।-“কি হবে ছোটবাবু কাল ?’ “দেখো। কেষ্টর মতলব ঠিক আছে।” “কি মতলব ? বলুন মোকে। পায়ে ধরি বলুন।” একটু ইতন্ততঃ করে হীরেন তার আশঙ্কার কথা এমন ভাবে বলে রম্ভাকে যে তার মানে দাড়ায় এই ৪ দাঙ্গা বাধিয়ে হেরম্বকে বীরেশ্বরের মতই কৌশলে মেরে ফেলবার আশাতেই শোভাযাত্ৰাট কৃষ্ণেন্দু বার করছে। কৃষ্ণেন্দুকে চেনে না রম্ভা ? হেরম্বকে শেষ না করে সে কলকাতায় ফিরে যাবে ? কৃষ্ণেন্দুর দাঙ্গার পরিকল্পনার কথা শুনে রম্ভার মুখ হী হয়ে গিয়েছিল। নাক কাণ কাটা নয়, চোখ কাণ করা নয়, একেবারে খুন হয়ে যাবে হেরম্ব । “দাঙ্গা যদি না বাধে ছোটবাবু ?” “বান্ধবো। কয়েকজন মাথাগরম ছেলেকে তালিম দিয়ে নিয়ে যাবে। আরও কি সব আয়োজন করেছে, আমি সব জানি না।” সুতরাং খানিক পরে কৃষ্ণেন্দু ফিরে এলে সভয় ভক্তিতে গদগদ হয়ে রম্ভ গলায় আঁচল জড়িয়ে তার পায়ের কাছে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে ८zeम दद्रव । “আপনি সত্যিকারের মানুষ। আপনাকে গড় করি কেষ্টবাবু।” কৃষ্ণেন্দু, খুশী হয়ে বলল, “বুঝতে পেরেছ তো আমার কথা ? আমি জানতাম তুমি বুঝতে পারবে রম্ভ।” R8 Ve