পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গেলেন, সে হল ভিন্ন কথা । রাতে ফিরবেন না ঠিক করে গেলেন, তোকে বললেন আর আমায় বললেন না, এ কখনো হয় ?” দিগম্বরীর দিশেহারা ভাব দেখে রম্ভা চুপ করে থাকে। একটা সহজ। সাধারণ কথাকে দিগম্বরী কেন এত বাড়িয়ে তুলছে তাও সে ভেবে পায় না। সমস্ত দুপুরটা সঙ্গর দেখে বেড়িয়ে সে শ্ৰান্তি বোধ করছিল। হাই তুলে সে জিজ্ঞেস করে, “খেয়ে এসেছে তো দিগুদিদি ?” দিগম্বরী গালে হাত দিয়ে বলে, “শোন মেয়ের কথা । ওনার আগে খাবো কি লো ?” রম্ভ চেয়ে দেখে, একটি আসনের সামনে একটি মাত্র থালা এবং গেলাস । পাশে অন্ন ব্যঞ্জনের পাত্রগুলি আছে, কিন্তু আর থালাও নেই, গেলাসও নেই। বুঝেও সে না বোঝার ভান করে। “পাতে খাবে বুঝি কত্তার ?” দিগম্বরী জবাব দেয় না । “ভাতে যদি কম পড়ে দিগুদিদি ? দিগম্বরী চুপ করে থাকে। স্বামীই হোক আর যেই হোক একজন আরেকজনের পাতে বসে খাবে এটা কিছু খাপছাড়া ব্যাপার নয়। রাস্তার কাছে, সে নিজেও কতবার কতজনের পাতে খেয়েছে। দিগম্বরীর নীরবতার মানে সে বুঝতে পারল না। “সোয়ামীর পাতে না খেলে কি হয়। দিগুদিদি ?” “°i° श्श् ।” “কেন ? ভুক লাগলে মানুষ খাবে নি ?” “সোয়ামীর আগে মেয়ে মানষের ভুক লাগবে কেন লো ছড়ি ? আগে সোয়ামী হোক, তখন বুঝবি।” 'চাইনি বাবা ’ বলে এত দুঃখেও রম্ভ হেসে ফেলল। তখন Vo