পাতা:দশকুমার.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিত্রগুপ্ত চরিত। > eసి তাহার অনুরোধ-পরতন্ত্র হইয়া সুনি ভোজনাদি করিয়া শয়ন করিলাম। শয়ন করিয়াই অবিলম্বে নিদ্রাভিভূত হইয়া স্বপ্নে প্রিয়াদর্শনাদি সুখ অমৃতব করিতে লাগিলাম। ইতিমধ্যে ভীমধন্থ লৌহ শৃঙ্খলে আমার হস্ত পদাদি বন্ধন করিয়া ফেলিল। আমি হঠাৎ জাগরিত হইয়া বিস্ময়াপন্ন হইলাম। তখন ভীমধন্বা ভয়স্কর ভ্ৰকুট করিয়া পরুষ বচনে বলিল অরে নরাধম! তুই মনে করিয়াছিস্ কন্দুকবতীর কর গ্রহণ করিয়া আমাকে অধীন করিয়া রাখিবি। কালি যখন কোষদাসের গৃহে চন্দ্রসেনার সহিত তোর কথা বাৰ্ত্ত হয়, কুৰ্বজ গবাক্ষ দ্বারে দাড়াইয়া সব শুনিয়া আসিয়াছে। তুই কি ভাবিয়াছিস্ আমি তোর কথায় চন্দ্রসেনা পরিত্যাগ করিব । ভীমধম্বা আমাকে এইরূপ তিরস্কার করিয়া অস্থচর গণকে বলিল “শীঘ্রই ইহাকে সমৃদ্রে নিক্ষেপ করিয়া আইস, নিষ্ঠর অহচরের তৎক্ষণাৎ তাহার আজ্ঞা সম্পাদন করিল। একে সেই অকূল সমুদ্র, বিষম তরঙ্গমালায় আকুল, তাহাতে আবার আমার হস্ত পদাদি লৌহ শৃঙ্খলে বদ্ধ । আমি সেই অগাধ সমুদ্রে পতিত হইয়া জীবনের অাশা একবারেই পরিত্যাগ করিলাম। কিন্তু ভাগ্যবলে এক কাঠফলক প্রাপ্ত হইলাম । কোন রূপে তাহ অবলম্বন করিয়া ভাসিতে ভাসিতে চলিলাম। এই রূপে এক দিবারাত্র অতীত হইল। প্রত্যুষে এক জাহাজ দেখিতে পাইলাম। উহাতে কতগুলা যবন ছিল । তাহার। আমাকে তুলিয়। নাবিক-নায়কের নিকট লইয়া গিয়া কহিল, জলমধ্যে শৃঙ্খলবদ্ধ এক পুরুষ পাইয়াছি । তাহার এই কথা বলিতেছে এমন সময় আর কতগুলা জাহাজ আসিয়া উপস্থিত হইল । আসিয়াই যবনদিগকে আক্রমণ করিল। কিয়ৎক্ষণ সংগ্রামের পর যবনের পরাজিত হইল। তখন আর তাহাদের গতান্তর নাই বুঝিয়া আমি তাহাদিগকে আশ্বাস দিয়া বলিলাম তোমরা আমার বন্ধন ছেদন করিয়া দাও । আমি একাকীই শক্ৰ সংহার করিতেছি। যবনের আমাকে বন্ধন মুক্ত করিয়া দিল । আমি বাণবর্ষণ দ্বারা অল্পকাল মধ্যেই সমস্ত শক্ৰ সংহার করিলাম। অনন্তর এক লম্ফ প্রদান করিয়া