পাতা:দশকুমার.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5 > 8 দশকুমার ককে দেখিয়া পঙ্গুর অন্তঃকরণ কৃতজ্ঞতা রসে অভিষিক্ত হইল, নয়মৱয় অশ্রুজলে পরিপুর্ণ হইল। তিনি তৎক্ষণাৎ ধন্যকের চরণতলে নিপতিত হইয়া বিনয় করিতে লাগিলেন। রাজা পঙ্গুর মুখে এই বৃত্তান্ত শুনিয়া এবং তাহার তাদৃশ ভাব দেখিয়া বিস্ময়াপন্ন হইলেন। অবিলম্বেই পাপীয়সী ঘূমিনীর নাসা কৰ্ণ ছেদন করিয়া রাজ্য হইতে দুর করিয়া দিলেন। অতএব, স্ত্রীলোকের হৃদয় অত্যন্ত ক্রর। গোমিনীর বৃত্তান্ত । দ্রাবিড় দেশে কাঞ্চী নামে নগরী আছে। তথায় এক ধনবান শ্ৰেষ্ঠী বাস করিতেন। শক্তিকুমার নামে তাহার এক পুত্র ছিলেন। তাহার যখন অষ্টাদশ বর্ষ বয়ঃক্রম হইল, তাহার পিতা তাহার বিবাহ দিবার চেষ্টা কবিতে লাগিলেন। শক্তিকুমার মনে মনে স্থির করিলেন স্ত্রী গুণবতী না হইলে এই সংসারে সুখ সম্ভোগের সম্ভাবনা থাকে না, আমি গুণবতী ব্যতিরেকে বিবাহ করিব না। শক্তিকুমারের পিতা ঘটক পাঠাইয়া যে সকল কন্য। আনয়ন করিতে লাগিলেন, এক জনও শক্তিকুমারের মনোনীত হইল না । পরিশেষে শক্তিকুমার স্বয়ং দৈবজ্ঞের বেশ ধারণ করিলেন, এবং যৎকিঞ্চিৎ ধান্য বস্ত্রাঞ্চলে বদ্ধ করিয়া দেশে দেশে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন । দৈবজ্ঞের কোন গৃহীর গৃহে যাইবার বাধা নাই । শক্তিকুমার যখন যে স্থানে যাইতে লাগিলেন, গৃহস্থের আপন অাপন কনা আনিয়া তাহার শুভাশুভ জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন শক্তিকুমার সজাতীয় সুলক্ষণা কন্যা দেখিলেই তাহাকে বলিতেন আমি এই ধান্য গুলি দিতেছি, তুমি কেবল ইহারি দ্বারা আমাকে উত্তমরূপ আহার করাইতে পার কি না, তাহার এই কথা শুনিয়া সকলেই তাহাকে উপহাস করিতে লাগিল । শক্তিকুমার এইরূপ পর্যটন করিতে করিতে এক দিবস শিবি রাজ্যে কাবেরী নদীর দক্ষিণ তীরে পট্টন নগরে উপস্থিত হইলেন। তথায় এক সজাতীয় গৃহস্তের সুলক্ষণাক্রান্ত কন্যা দর্শন করিলেন। ঐ কন্যার পিতা মাত পুৰ্ব্বে অতুল ঐশ্বর্যশালী