পাতা:দশকুমার.djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্ত্রগুপ্ত চরিত । ১২৭ লেন। তাহার বদন কমলে মকরন্দ-বিন্দুর নায় ঘৰ্ম্মবিহু হইতে লাগিল । তাহার শরীর পুলকিত হইয়া উঠিল । তাহার এই সমস্ত সত্ত্বিক বিকারের চিহ্ন দেখিয়া বোধ হইল, আমার প্রতি তাহার অনুরাগ সঞ্চার হইয়াছে। অনন্তর তিনি লজ্জা-নমু মুখে আমাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, আপনি এই দাসীকে মৃত্যুমুখ হইতে উদ্ধার করিয়া, কি কারণে অবজ্ঞা করিয়া, পরিত্যাগ করিতেছেন । আপনি কৃপা করিয়া এই দাসীকে চরণে স্থান দান করুন। আমাকে সমভিব্যাহারে করিয়া আপনি স্বয়ং আমার অন্তঃপুরে লইয়। চলুন। আমার অন্তঃপুরে রহস্য প্রকাশের কোন সম্ভাবনা নাই । রাজকন্যার তাদৃশ ভাব দেখিয়া এবং তাড়শ অমৃতীয়মান মধুর বচন শ্রবণ করিয়া,আমার হৃদয় নিতান্ত অধীর হইয়া উঠিল, তখন রক্ষসকে বলিলাম সখে ! এই মনোহারিণীর প্রণয় ভঙ্গ করা কোন রূপেই উচিত নয় । তুমি আমাকেও এই হরিণনয়নার সমভিব্যtহারে লইয়া চল । রাক্ষস তৎক্ষণাৎ আমাদিগকে লইয়া কলিঙ্গরাজকন্যার অন্তঃপুরে উপনীত করিল। রাজকুমারী সহচরী গণকে জাগরিত করিয়া তাবৎ বৃত্তান্ত আদ্যোপান্ত বলিলেন । তাহারা অামার চরণে পতিত হইয়া অঞ্জপুর্ণ নয়নে বলিতে লাগিল আর্য ! আপনি আমদের সহচরীর প্রতি যে অকৃত্রিম দয়া প্রকাশ করিয়াছেন, চিরকাল আমরা আপনকার নিকট ঋণী হইয়া থাকিলাম। আপনি অনুগ্রহ করিয়া কনকলেখার পাণি গ্রহণ করিলে আমরা চরিতীৰ্থ হই । আমি সহচরী গণের এই রূপ বিনয় বচনে সন্তুষ্ট হইয়া গান্ধৰ্ব্ব বিধানে সেই কামিনীর পাণিগ্রহণ করিয়া, সুখে অবস্থিতি করিতে লাগিলাম। কলিঙ্গরাজ, বহুকাল রাজকীয্য পর্যালোচনা করিয়া অতিশয় শ্রান্ত হইয় ছিলেন, বিশ্রাম-সুখ লাভের বাসনায়, দক্ষিণ সয়দ্রের উত্তর তীরবত্তী উপবনে সপরিবারে কিয়ৎকাল অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। তখন বসন্ত কাল। তরুগণে নানাবিধ কুসুম প্রস্ফটিত হইয়া উপবনের বিজাতীয় শোভা সম্পত্তি সম্পাদন করিয়া