পাতা:দানিএল মুনির চরিত্র.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

63 অতএব ঈশ্বর নবুখদনজরকে স্বপুদর্শন দেখাইয়া দানিএলকে ঐ স্বপুের অর্থ করণ পূর্বক আগামি কালের মনুষ্যদের হিতার্থে তাহ লিথিয়া দিতেও আজ্ঞা দিলেন। কেহ যদি বলে ঈশ্বর অনায়াসে প্রতিমনুষ্যকে পৃথক মতে স্বেচ্ছা জ্ঞান করাইতে পারেন অতএব পূৰ্ব্বে ইহার কেবল এক মানুষকে জানাইয়া কহিলেন কেন ইহার উত্তর লিথিয় দি | ঈশ্বর অন্যদিগকে জ্ঞাপনার্থে কেবল এক ব্যক্তিকে আপন ইচ্ছা না জানাইয় তাহ কালক্রমে আপাততঃ অন্যান্য লোককে জানাইতে পারেন বটে কিন্তু অনুমান হয় মনুষ্যেরা তাহার বাক্যে প্রত্যয় রাথিরে কি না তিনি ইহা পরীক্ষার্থে তাহ করেন না যেহেতুক ঈশ্বর ভবিষ্যদ্বক্তৃগণকে আপন ইচ্ছা যেরূপ প্রকাশ করিলেন সে রূপ প্রতি মনুষ্যকেও তাহা যদি জানাইতেন তবে কোন অশুদ্ধার স্থান হইত না। আর দৈবচেতনা প্রাপ্তি কালে ভবিষ্যদ্বক্তার সুপ্তবৎ অচেতন হইলেন না এ নিশ্চয় অতএব ঈশ্বর যদি সৰ্ব্ব লোককেও হঠাৎ ঐরপ’দৈবচেতন দিতেন তবে সকলে সত্যাসত্য কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য সৰ্ব্বা^শে নিঃসন্দেহে জানিত । ইহাতে কেহ ২ বোধ করে ঈশ্বরের বাক্যেতে অশুদ্ধার স্থান না থাকিলে তো ভাল কেননা কোন মনুষ্য দৃষ্টমত অপ্রত্যয়ী হইত না কিন্তু বুঝি অনেক লোকের সত্য জ্ঞান পাইয়াও তৎপালনে রত থাকিত না যেমন পূৰ্ব্বোক্ত বালাম নাম, দুষ্ট ব্যক্তি দৈৰচেতনা প্রাপ্ত হইয়ণও অসদাচারী রছিল তেমনি ।