পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৫ বিবাহ প্রথা গণের নিমিত্ত নির্মিত সমঠে ধর্মচর্চায় জীবন যাপন করেন শুনিতে পাওয়া যায়। | দেশের রীতি অনুসারে পরিবারের একটী পুত্রকে ধৰ্ম্মবিষয়ে শিক্ষালাভের নিমিত্ত সমঠে প্রেরণ করিবার নিয়ম আছে। লামাব্রতে দীক্ষিত বালককে ব্রহ্মচর্য ব্ৰতাবলম্বী হইয়া সুদীর্ঘ অষ্টাবিংশ বৎসর সমঠে ধর্মচর্চা ও ধৰ্ম্মশাস্ত্রলােচনায় অতিবাহিত করিতে হয়। নিয়মিতকাল মধ্যে কোন কারণে গৃহে গমন আবশ্যক হইলে মঠাধ্যক্ষ প্রধান লামার অনুমতিক্রমে কিয়ৎকালের নিমিত্ত সংসারাশ্রমে প্রত্যাগত হওয়া যায়, কিন্তু মঠ হইতে দূরে অবস্থানকালে ব্রহ্মচারীর চরিত্রভ্রংশ ঘটিয়াছে এরূপ সন্দেহ হইলে তাহাকে আর পুনঃ মঠে প্রবেশ করিতে দেওয়া হয় না। (খ) বিবাহ-প্রথা, কুমারীকাল অতিক্রম করিয়া যৌবনাবস্থা প্রাপ্ত না হইলে ভােট-বালিকার বিবাহ হয় না। সাধারণতঃ বিবাহকামী বর কন্যার বাটীতে স্বয়ং উপস্থিত হইয়া পাত্রী প্রার্থনা করে, কিন্তু পরস্পরের প্রতি আসক্ত যুবক-যুবতীর গােপনে গৃহত্যাগ দ্বারা কৌশলে অভিভাবকগণের সম্মতি গ্রহণ প্রথাও প্রচলিত আছে। গ্রাম হইতে কোন যুবক-যুবতী হঠাৎ নিরুদ্দিষ্ট হইলে। গ্রামের প্রধানগণ পঞ্চায়েৎ বৈঠকে একত্রিত হইয়া তাহাদিগের পলায়নের কারণানুসন্ধান পূর্বক, যুবতী যুবকের