পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৪ দার্জিলিংএর পাৰ্বতজাতি , | ভূটিয়াগণ কখনও স্বহস্তে পশুবধ করিয়া মাংসভােজন করে না; কিন্তু অপর কর্তৃক নিহত পশুর মাংস গ্রহণ সম্বন্ধে কোনরূপ বিধি নিষেধ দেখা যায় না। ভােটদেশে, সংবৎসর মধ্যে তিনমাস কাল মাত্র রাজ নিয়মে পশু হত্যার নিমিত্ত নির্দিষ্ট আছে, তৎকাল ব্যতিরেকে পশুবধ করিলে অপরাধীকে নরহত্যার তূল্য অপরাধে অভিযুক্ত হইতে হয়। এতদ্দেশে, ভুটীয়াগণ (২)সাধারণতঃ সকল প্রকার মাংসভােজন করিলেও, দেশে কেহই মেষ ব্যতীত অপর কোন পশুর মাংস গ্রহণ করে না। “অহিংসা পরমধর্ম” বৌদ্ধগণের মূলমন্ত্র হইলেও লামাগণের মাংস ভােজনে নিষেধ নাই, কেবলমাত্র কঠোর ব্ৰতাবলম্বী “ইউগি” বা “গেলং”গণকে মাংস ও জারমদ্য গ্রহণে বিরত দেখা যায়। ভােটগণ মৃগয়াবিমুখ, ইহাদিগের বিশ্বাস যে বন্দুকের দ্বারা পশু হত্যা করিলে দেবতা বিরূপ হন্ এবং দেশে অজস্র বারিবর্ষণ ঘটে। ভােটসমাজে পুত্র-কন্যা উভয়কেই সমভাবে শিক্ষিত করিবার বিধান আছে, এবং ধনাঢ্য পরিবারে বাল্যকাল হইতেই বালিকাগণকে গৃহশিল্প ও সঙ্গীত সম্বন্ধে শিক্ষাদান করা হইয়া থাকে। ভােটকুমারীগণের মধ্যে অনেকে ধৰ্ম্মশাস্ত্রে বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়া আজীবন ব্রহ্মচৰ্য-ব্রতচারিণী হইয়া সন্ন্যাসিনী | (২) অনেকে বলেন যে প্রবাসী ভুটীয়াগণও গােমাংস ভক্ষণ করে না।