পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৭ বিবাহ প্রথা। ঢাক, শিঙ্গা, কঁাশর ও ঘণ্টা বাজাইয়া মহা আড়ম্বয়ের সহিত মন্ত্রপাঠ করিতে থাকেন, এবং ব্যবসাদারী নর্তকর্ণ নৃত্য কৌতুক প্রদর্শন দ্বারা পানরত নিমন্ত্রিতগণের চিত্ত বিনােদনে ব্যাপৃত হয়। (দেবার্চনারত লামাগণ চিত্র দ্রষ্টব্য) উভয় পক্ষীয় আত্মীয় কুটুম্বগণ, মদ্য,মাংস ও পিষ্টকাদি সংযােগে আহার সমাধা করিয়া বিবাহ স্থলে প্রত্যাগমন করিলে বর কন্যা তথায় আনীত হন এবং শির নত করিয়া দেবতা ও পূজনীয়গণের উদ্দেশে প্রণাম জ্ঞাপন করেন। | ভােটসমাজে সিন্দুর দানের প্রথা চলিত না থাকিলেও বর অঙ্গুলিতে নবনী গ্রহণ করিয়া দ্বারা নবপরিণীতা পত্নীর ললাটে “টীকা” পরাইয়া দেন এবং “টীকার” সঙ্গে সঙ্গেই বিবাহ কাৰ্য্য সম্পন্ন হইয়া যায়। প্রাচীনরােমের donatio propter nuptias প্রথার ন্যায় ভােটগণের মধ্যেও বিবাহ রাত্রে নবপরিণীতাকে বর কর্তৃক বস্ত্রালঙ্কার প্রদানপ্রথা প্রচলিত আছে এবং সমাগত বন্ধু বান্ধবগণও নবদম্পতিকে ঐ রাত্রে যথাসাধ্য প্রীতি উপহার প্রদান করিয়া বিশেষ তৃপ্তি অনুভব করিয়া থাকেন। | দেশের রীতি অনুসারে বরযাত্রিগণ প্রত্যেকে বর ও কন্যা উভয় পক্ষ হইতেই উপহার স্বরূপ এক এক খণ্ড ক্ষুদ্র শাল বা রুমাল প্রাপ্ত হইয়া থাকেন। বিধবা বিবাহ ও একাধিক পত্নী-গ্রহণ ভোেট সমাজে প্রচলিত আছে। স্বামী যথেচ্ছ দার পরিগ্রহ করিলেও