পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৮ দার্জিলিংএর পার্বত্যজাতি প্রথমা পত্নীই সংসারের সর্বময়ী কীরূপে বিরাজ করেন, এবং গ্রীগণকে সর্বদাই তাহার আজ্ঞানুবর্তিনী হইয়া চলিতে হয়। তিব্বতীয় সমাজের অনুরূপ এ মঙ্গলকর বিধানের অস্তিত্ব হেতু বহুবিবাহ প্রথা প্রচলিত থাকিলেও সপত্নী বিদ্বেষ অন্যান্য দেশের ন্যায় ভীষণাকার ধারণ করিয়া ভােট পরিবারে অশান্তি ও অনর্থের সৃজন করেনা। (গ) ব্যভিচার অপরাধের দণ্ড ভােট দেশে ব্যভিচার অতি ঘৃণিত অপরাধ বলিয়া পরিগণিত এবং ব্যভিচারীর প্রতি অতি কঠোর দণ্ডের বিধান হইয়া থাকে। ব্যভিচার অপরাধে অভিযুক্ত নরনারী “পঞ্চায়েত” কর্তৃক উন্মুক্ত প্রান্তর মধ্যে আনীত হইয়া সৰ্বসমক্ষে অতি নির্দয় ভাবে পুনঃ পুনঃ প্রহৃত হয়, এবং অপরাধী পরুষ রমণীর। স্বামীকে ক্ষতিপূরণ স্বরূপ কিঞ্চিৎ অর্থদণ্ড প্রদান করিয়া। তাহাকে পত্নীরূপে গ্রহণ করিতে বাধ্য হয়। পতিহীনা নারী দোহদ -সবিতা হইলে প্রধানগণ তাহাকে উপপতির নাম প্রকাশ করিতে আদেশ করেন, এবং নাম অবগত হইলে ত্যক্তিকে আনয়ন পূর্বক রমণীকে তদহস্তে অর্পণ করেন, কিন্তু রমণী নাম প্রকাশে অসম্মত। হইলে তাহার প্রতি কঠোর কায়িক শাস্তি বিধান করিয় তাহাকেই দেশ হইতে বহিস্কৃত করিয়া দিয়া থাকেন।