পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•

੧੪ ধৰ্ম্মানুষ্ঠান ভুটানে, সামাজিক আইন লঙ্ঘন সম্পর্কীয় যাবতীয়, ব্যাপারগুলি গ্রামের প্রধানগণ কর্তৃক ঐরূপ ভাবে মীমাংসিত হইয়া থাকে। ব্রিটিশ রাজাধিকৃত দেশে অপরাধীর কায়িক দণ্ড বিধান আইনসম্মত নহে বলিয়া সামাজিক বিচারে তাহার গুরু অর্থদণ্ডের ব্যবস্থা হইতে দেখা যায়। জারজগণ সমাজ পরিত্যক্ত ক্রীতদাসরূপে পরিগণিত হয়, এবং তাহাদিগের বিবাহাদিও ঐ শ্রেণীর যুবক যুবতীগণের সহিত সংঘটিত হইয়া থাকে। (ঘ) ধৰ্ম্মানুষ্ঠান ঃ ভুটীয়াগণ, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হইলেও ইহাদিগের মধ্যে অনেকে কাৰ্যতঃ প্রেতােপাসক এবং দুর্গা, সরস্বতী প্রভৃতি হিন্দু দেবীরও ভজনা করিয়া থাকে। | ভােটগণ কর্তৃক হিন্দুদেবদেবীর উপাসনা দেখিয়া অনুমান হয় যে এককালে বৌদ্ধ ধর্ম বিস্তারের পূর্বে ভুটানে হিন্দু প্রভাব বিশেষ ভাবে বিস্তৃত ছিল। ইহাদিগের মধ্যে তিব্বতীয়গণের ন্যায় গৃহে বুদ্ধ মূর্তি সংরক্ষণের প্রথা আছে, এবং অশুভ নিবৃত্তি বা শান্তি স্বস্ত্যয়নাদির আবশ্যক হইলে লামার দ্বারা, ধূপদীপ, রক্তচন্দন, চাউল প্রভৃতি উপকরণ যােগে দেবার্চনার বিশেষ ব্যবস্থা হইয়া থাকে। বােগব্যাধি প্রভৃতি বিপৎপাত ঘটিলে তাহা দুষ্টযােনির কোপস্যুত মনে করিয়া প্রেতােপাসক লামা বা ঝাকরির দ্বারা অপদেবতার ক্রোধােপশমন জন্য প্রেতপজানুষ্ঠানের প্রচলন দেখা যায়।