পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮০ দার্জিলিংএর পার্বত্যজাতি . কোন গৃহে এরূপ দেবার্চনা বা দুষ্ট গ্রহ শান্তি আরম্ভ হইলে ক্রমাগত দু’তিন অহােরাত্র প্রতিবেশীদিগকে ঢাক, শিঙ্গু, কাশর কৰ্ত্তাল প্রভৃতির বাজনায় ও মূহুর্মুহুঃ দ্রুত মন্ত্রোচ্চারণের শব্দে বিশেষ বিব্রত থাকিতে হয়! তিব্বতীয়গণের ন্যায় গৃহাঙ্গনে বংশদণ্ড প্রােথিত করিয়া প্রার্থনা মন্ত্রলিখিত বস্ত্র খণ্ড উড্ডীন করিয়া দেওয়া, “ও মণি পদ্মে ও” মন্ত্রোচ্চারণ, হস্তদ্বারা “মানে” সঞ্চালন, ও মালাজপ দ্বারা পণ্যার্জনের প্রথা ভুটীয়াদিগের মধ্যেও দৃষ্ট হয়। “কাঞ্জুর ও তেঞ্জুর নামক তিব্বতীয় ধর্ম গ্রন্থ ভুটীয়াগণের ধৰ্ম গ্ৰন্থ” রূপে পরিগণিত হয় এবং চোআতিসা” নাগার্জুনকে ইহারা মহাপুরুষ বলিয়া মান্য করে। “থনমি ছাম ভােটা” নামক এক মহাপুরুষ ভােটদেশে লিখন পদ্ধতি ও সাহিত্য সর্বপ্রথম প্রচলিত করিয়াছিলেন বলিয়া কথিত হয়। | নাগার্জুন কর্তৃক ভারত হইতে নীত সংস্কৃত ভাষায় লিখিত ধৰ্ম্ম পুস্তক গুলির তিব্বতীয় ভাষায় অনুবাদ (১)বৰ্ত্তমান সময়ে সঙ্খমঠসমূহে লামাগণ কর্তৃক পঠিত হইয়া থাকে ।। জনসাধারণের উপর, তিব্বতীয় লামাগণের ন্যায়,ভুটীয়া লামাগণের যথেষ্ট প্রভাব ও প্রতিপত্তি লক্ষিত হয়, এবং তাহারাও লামার আদেশ ব্যতীত কোন কার্যে ব্ৰতী হয় না। (১) কেহ কেহ বলেন তিব্বতীয় অক্ষবে মাত্র লিখিত।