পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসব ও পৰ্বোত্ যাপন ৮১। (ঙ) উৎসব ও পদোনঃ বৎসরের মধ্যে “লােছার” ভুটীয়াদিগের সর্বশ্রেষ্ঠ পর্বদিন। সাধারণতঃ ফেব্রুয়ারী মাসের শেষে বা মার্চের প্রথমভাগে এই “বড়দিন উৎসবের দিন ধার্য্য হইয়া থাকে। লােছারএর পঞ্চম দিনে গ্রামােপকণ্ঠস্থিত দেবপীঠ স্থানে সমবেত হইয়া ভুটীয়া স্ত্রী পরুষ সমস্ত দিবস নৃত্য, গীত, তীর। ধনু (‘‘দা ও সু”) চালনা, পানভােজন প্রভৃতিতে অতিবাহিত করিয়া মহােল্লাসে “ছেপাঙ্গা” নামক পৰ্বোদ্যাপন করে। এই উপলক্ষে গ্রামের প্রধান ও ধনিব্যক্তিগণ, প্রান্তর মধ্যে বিস্তৃত কার্পেট আসনে উপবিষ্ট হইয়া “চোঙ,” মদ্য পান করিতে থাকেন এবং গ্রাম্য বালক ও যুবকগণ নানারূপ কৌতুক প্রদর্শন দ্বারা তাহাদিগের আনন্দ বর্ধনে ব্যপৃত হয়। | “ছেপাচাঙ্গা” অর্থাৎ প্রতিমাসের পূর্ণ মাসী উপলক্ষে দেবপীঠে গমনপূর্বক পূজার্চনা ও নৃত্যগীতাদি অনুষ্ঠানের প্রথা আছে, কিন্তু এই সকল মাসিক পৰ্ব্বোপলক্ষে জনসাধারণের মধ্যে তাদৃশ উৎসাহ ও উত্তেজনা দেখা যায় না। বুদ্ধদেবের কুসুমকোরক হইতে জন্মগ্রহণ উপলক্ষে বৎসরের ষষ্ঠমাসের চতুর্থ দিনে “যুগ পাছেসী” ও জ্যৈষ্ঠমাসে চন্দ্রের পৃথিবীর উপরিভাগে অবস্থিতি উপলক্ষে “ছাখাদেওয়া” নামক পৰ্বদিনে ভুটীয়া স্ত্রী পুরুষগণ ধৰ্ম্মমন্দিরে গমন পূর্বক নৃত্য গীতাদিতে সমস্ত দিবস অতিবাহিত করে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার তৃতীয়দিবসে “পাঙ্গছে” বা