পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দার্জিলিংএর পার্বত্যজাতি “চেতেন” অর্থাৎ লামাকত্ত্বক শিশুর নাম করণ উপলক্ষে মহাসমারােহের সহিত গৃহে দেবাৰ্চনা ও বন্ধুবান্ধবাদি ভােজন করান হইয়া থাকে। জন্মান্তরবাদ সম্বন্ধে ভুটীয়াদিগের বিশ্বাস, তিব্বতীয় ও লেপচাগণের অনুরূপ। ভুটীয়াগণের ধর্মসম্বন্ধে যে পূর্ধ্বতন প্রাচীন বিশ্বাস এখনও অপনীত হয় নাই তাহা “সংসার চক্র” বা “জম্বলিং নামক ছবি খানি হইতে স্পষ্ট অনুমিত হয়। পরম কারুণিক সৰ্ব্বমঙ্গলময় বিশ্বপতির স্নিগ্ধজ্যোতিঃপূর্ণ অপরূপ রূপের পরিবর্তে নখদংষ্ট্রাবিশিষ্ট নরাকৃতি জাননায়ারের বিকট মূর্তি কল্পনাই ভূভপ্রেত প্রভৃতি দুষ্ট যােনির প্রতি আস্থা ও কুসংস্কারপূর্ণ অদ্ভুত ধৰ্ম্মবিশ্বাসের পরিচায়ক। লামাগণ পূজার্চনাদি উপলক্ষে গৃহে সমাগত হইয়া যজমানগণকে এই জঘুলিং প্রদর্শন পূর্বক ধর্মোপদেশ প্রদান করে। (চ) স্বতসৎকার - ভুটীয়াদিগের শসৎকার প্রথা তিব্বতীয়দিগের অনুরূপ হইলেও ইহার বিশেষত্ব এই যে মৃতের আত্মীয় কুটম্বগণ শ্মশানে শব বহন করিয়া আনিয়া উহা চিতার উপরে আসীন অবস্থায় স্থাপন পূৰ্ব্বক অগ্নিতে দাহ করিয়া থাকে । অগ্নি সৎকার ব্যতীত নাকি অপর কোন প্রথা ইহাদিগের মধ্যে প্রচলিত নাই। জীবিতগণের অশুভ নিবৃত্তি কামনায় মৃত্যুর তৃতীয়