পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ পুত্র কন্যার বয়ঃক্রম সাত বৎসর উত্তীর্ণ হইলেই গুখালিগণ দৈবজ্ঞ ব্রাহ্মণ দ্বারা তাহাদিগের বিবাহের “লগ্ন” নির্ণয় করে, এবং ঘােড়শ কি অষ্টাদশ যে বর্ষে ‘লগ্ন’ ধাৰ্য্য হয় তাহার দু'তিন বৎসর পূর্ব হইতেই বরপক্ষ পাত্রী অন্বেষণে বহির্গত হন্ । প্রাত্রীর সন্ধান মিলিলে ‘মাংগনির’ নিদর্শন স্বরূপ (১) দধি ও শুপারী বা (২) দধি ও জার মদ্য প্রভৃতি সঙ্গে লইয়া পাত্রের কোন নিকটাত্মীয় কন্যার পিতার নিকট সমাগত হইয়া পাত্রী প্রার্থনা করেন। প্রার্থীর প্রার্থনা পূরণ করা সম্বন্ধে সমস্তই কন্যার পিতা বা তৎস্থলাভিষিক্ত অভিভাবকের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে ; তবে ঘর, বর প্রভৃতি কন্যা পক্ষের মনােমত হইলে বিবাহ সম্বন্ধ স্থাপনে কোনরূপ আপত্তির কারণ থাকে না। পাত্রী মূল্য স্বরূপ প্রাপ্য পণের পরিমাণ স্থিরীকৃত হইলে কন্যার পিতা বা তৎস্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কন্যাদানে প্রতিশ্রুত হন, এবং দৈবজ্ঞ ব্রাহ্মণ ডাকাইয়া উভয় পক্ষের সুবিধাজনক দিনে বিবাহের দিন ধার্য্য করিয়া থাকেন। নির্ধারিত দিনে বর, নিজ গৃহে ব্রাহ্মণ দ্বারা হােমানুষ্ঠানপূর্বক সদলবলে (১) ব্রাহ্মণ, ছৈত্ৰী পক্ষে (২) গুর্খালি পক্ষে