পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ ১৫ যাত্রা করিয়া সন্ধ্যার প্রাক্কালে পাত্রীর বাটীতে আসিয়া উপনীত হন। | পার্বত্য প্রদেশের চড়াই, উৎরাই পথে পাল্কী প্রভৃতি যানের সুবিধা না থাকা বশতঃ এবং ডাণ্ডী, রিক্সা প্রভৃতি বহু কয় সাধ্য বলিয়া সাধারণতঃ একখণ্ড বংশ দণ্ডের সহিত বস্ত্র দ্বারা বাদর ঝুলান' করিয়া বরকে বহন করিয়া লইয়া যাওয়া হয়। ঝােলার মধ্যে বর বেচারী নিতান্ত শুদ্ধ শান্ত বালকের মত উর্দ মুখে হস্তপদ বিস্তার করিয়া চুপ করিয়া পড়িয়া থাকে। অন্য অবস্থায় কেহ এরূপ বিড়ম্বনা ভােগ করিতে স্বীকৃত হয় কিনা সন্দেহ। বর-ত্রিগণ সহ বর বিবাহ বাটীতে আসিয়া উপনীত চল প্রাচীন লাজ বর্ষণের অনুরূপ অভ্যর্থনা সূচক দধি ও ভণ্ডুল বর্ষণ দ্বার। কন্য। পক্ষীয়গণ তাহাদিগের সংবর্ধনা করিয়া থাকেন। তৎপরে বর ও বরপক্ষীয়গণের ভােজন সমাধা হইলে কত। র পিতা বা তৎস্থলাভিষিক্ত অভিভাবক বরকে অন্তঃপুরে লইয়া গিয়: বান্দানের নিদর্শন স্বরূপ একটী অঙ্গুরীয়ক তাহার হস্তাঙ্গুলিতে পরাইয়া দিয়া তাহাকে সম্বােধন পূৰ্ব্বক কহিতে থাকেন “এই কন্যাকে আমি তােমার হস্তে অর্পণ করিলাম এবং অদ্যাবধি সে তােমার হইল। যদি কখন তাহার চরিত্র সম্বন্ধে তােমার মনে কোনরূপ সন্দেহের উদয় হয় তাহা হইলে তুমি স্বচ্ছন্দে তাহাকে মৃৎকলসীর মত টুকরা “টুকরা করিয়া ফেলিও।” = =