পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ ১৭ -অনুমান হয় যে, আমাদিগের দেশে যেমন অনেকস্থলে কুলগুরু, কুলপুরােহিতাদির দোহাই দিয়া অনেক নিরক্ষর গুরু পুরােহিত পুত্র শিষ্য যজমান রক্ষা করিয়া এখনও বেশ দু’পয়সা উপার্জন করিতেছেন, নেপালী-পাহাড়িয়া সমাজেও ব্রাক্ষণগণ ঠিক ঐরূপ ভাবেই হয়ত আপনাদিগের পৈতৃক ব্যবসায় রক্ষা করিয়া সংসারযাত্রা নির্বাহ করিতেছেন। বিবাহকালে শ্বেত-বস্ত্র পরিহিত বর উণি দ্বারা মুখমণ্ডল আবৃত করিয়া প্রজ্বলিত অগ্নির সম্মুখে উপবিষ্ট থাকেন এবং অন্তঃপুর হইতে লালবর্ণের তিন প্রস্থ পােষাকে * সজ্জিতা কন্যাকে বহন করিয়া আনিয়া তৎপার্শ্বে স্থাপন করা হয়। পার্বত্য প্রদেশের চলিত প্রথানুসারে ইহার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বরপক্ষের, পাত্রী সুন্দরী কি কুৎসিত, অন্ধ কি খঞ্জ তাহা দেখিবার অধিকার থাকেনা, তবে এদেশে স্ত্রী অবরােধ প্রথার প্রচলন না থাকা বশতঃ বিবাহ প্রস্তাব উত্থাপনের পূৰ্বে গােপনে পাত্রী দর্শনের সুযােগাভাব ঘটে না। বর, শুদ্ধ শান্তভাবে নিজাসনে উপবিষ্ট হইয়া হােমাগ্নির চতুষ্পর্শ্বে আসীন মন্ত্রপাঠরত ব্রাক্ষণগণের কাৰ্যকলাপ নিরীক্ষণ করিতে থাকেন। পাহাড়িয়া সমাজের রীতি অনুসারে বরকনেকে কোন মন্ত্র পাঠ করিতে হয় না। কন্যা পক্ষীয়গণের কন্যার সীমন্তে সিঁন্দুর প্রদান • তিন প্রস্থ পােষাক পরিধান করার তাৎপৰ্য্য কি তাহা কেহই বলিতে পারেন না।