পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ দার্জিলিংএর পার্বত্যজাতি দর্শন নিষেধ বলিয়া তাহারা সিন্দুর দান কালে বিবাহ স্থলপরিত্যাগ পূৰ্ব্বক অন্যত্র প্রস্থান করেন। হিন্দু বিবাহের ন্যায় ইহাদিগের বিবাহেও অঞ্চল বন্ধন অগ্নি-প্রদক্ষিণ এবং সর্বশেষে পুরােহিত বিদায়েব সে ভীষণ ব্যাপার সমস্তই বর্তমান আছে। বঙ্গদেশে বর যাত্রিগণের অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনার নিমিত্ত কন্যাকর্তাকে বিশেষ উদ্বিগ্ন ও ব্যতিব্যস্ত থাকিতে হয় কারণ তাহারা অতি তুচ্ছ বিষয় লইয়া অনেক সময় মহা গণ্ডগােলের সৃষ্টি করিয়া থাকেন, কিন্তু পার্বত্য সমাজে বরপক্ষকেই বরাবর অতি নম্র ও ভদ্র ব্যবহার করিতে দেখা যায়। এবং কন্যার পিতাকে বিবাহ সম্পৰ্কীয় কোন বিষয়ের জন্য বিন্দুমাত্রও ভাবিত হইতে হয় না। পার্বত্য প্রদেশের চলিত প্রথানুসারে, বরপক্ষকেই পাত্রী অনুসন্ধানে বহির্গত হইতে হয় এবং কন্যার পিতাকে, বঙ্গের হতভাগ্য ( কন্যার পিতার ন্যায় আহার নিদ্রা পরিত্যাগ করিয়া পাত্ৰানু সন্ধানে দুয়ারে দুয়ারে ফিরিতে হয় না বলিয়াই বােধ হয় পার্বত্য ও সমতল দেশবাসী বরপক্ষগণের সৌজন্যে এত পার্থক্য। নেপালী পাহাড়িয়া সমাজে বিধবা বিবাহের প্রচলন নাই, কিন্তু অনেক বিধবা রমণীকে একই অথবা ভিন্ন জাতীয় পুরুষের সহিত রক্ষিতারূপে অবস্থান করিতে দেখা যায়। এনিমিত্ত এদেশে ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পিতামাতার সংমিশ্রণে