পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ ১৯ উৎপন্ন বহু সন্তান সন্ততি দেখিতে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে এরূপ মিশ্র ও অবৈধ সংমিশ্রণে উৎপন্ন বালক বালিকাগণ জারজ বলিয়া সমাজে ঘৃণ্য হইয়া থাকে, কিন্তু পার্বতসমাজ, পিতামাতার ক্ষণিক দুর্বলতা বা অবিমৃষ্য কারিতার ফলে নিস্পাপ শিশু চির অভিশপ্ত জীবন যাপন করিবে ইহা ন্যায়সম্মত হইতে পারেনা বলিয়া ইহাদিগকে তাহার উদার বক্ষে স্থানদান করে। ব্যভিচার অপরাধের নিমিত্ত নেপালে অপরাধিনী স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত এবং পুরুষকে ব্যভিচারিণীর স্বামীর দ্বারা প্রকাশ্য স্থলে খুকরী আঘাতে নিহত করা হইয়া থাকে। অপরাধী যদি বখােদ্যত ব্যক্তির পদদ্বয়ের মধ্য দিয়া নতজানু হইয়া গমন করে, অথবা অপরাধিনী যদি স্বীকার করে যে ঐ পুরুষই তাহার একমাত্র উপপতি নহে, অথবা কেহ দয়াপরবশ হইয়া অপরাধীর জীবনের মূল্য স্বরূপ গুরু অর্থদণ্ড প্রদান করে তাহা হইলে তাহার জীবন রক্ষা হইতে পারে। কিন্তু গুখালিগণ তুচ্ছ জীবনের নিমিত্ত লােক সমাজে হেয় হওয়াপেক্ষা আততায়ীর হস্তে প্রাণবিসর্জন করা শ্রেয়ঃ মনে করে। দার্জিলিং জিলায় অপরাধী পুরুষ রমণীর স্বামীকে ষাইট মুদ্রা অথবা বিবাহকালে ব্যয়িত অর্থের তূল্য পরিমাণ অর্থদণ্ড প্রদান করিয়া থাকে।