পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৯ বিবাহ প্রথা বিবাহরাত্রে যুবকের আত্মীয় কুটুম্ববর্গ জারম ও পিষ্টক প্রভৃতি উপঢৌকন লইয়া বিবাহবাটীতে সমবেত হইলে লিম্বুজাতির প্রথানুসারে যুবতী যুবকের বাজনার তালে তালে নৃত্য করিতে থাকেন এবং উপস্থিত পাড়াপ্রতিবেশী যুবক যুবতীগণ মাঝে মাঝে তাহাদিগের সহিত নৃত্যগীতে যােগদান করিয়া সকলের আনন্দ বর্ধনে ব্যাপৃত হয়। নৃত্যগীতান্তে মুণ্ডিত মস্তক “ফেদাং” বিবাহস্থলে আগমন করিয়া মন্ত্র পাঠ করিতে করিতে নবদম্পতি কর্তৃক ধৃত কুকুট কুকুটীর গ্রীবা চ্ছেদন পূৰ্ব্বক নির্গত শােণিতধারা একখণ্ড কদলীপত্রে ধারণ করেন। ইহা হইতে নাকি দম্পতির ভবিষ্যৎ শুভাশুভ নিরূপিত হয়। | যুবক কর্তৃক যুবতীর সীমন্তে সিন্দুর অনুলেপনের সঙ্গে সঙ্গে বিবাহকাৰ্য্য সমাধা হইয়া যায় এবং সমাগত কুটুম্ববর্গ জামদ্য, শূকর মাংস, অন্ন ও পিষ্টকাদি সংযােগে পরিতােষ পূৰ্ব্বক ভােজন করিয়া গৃহে গমন করেন। বিবাহের পর দিবস, অশরীরী আত্মা আবাহন করিয়া নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করাইবার প্রথা আছে, কিন্তু অধিকাংশ স্থলেই বাঞ্ছিত বর প্রদত্ত হয় না এবং গ্রহশান্তির ব্যবস্থা হইয়া থাকে। | শান্তিস্বস্ত্যয়নাদি অনুষ্ঠানের আবশ্যক হইলেই পুরােহিতগণের কিঞ্চিৎ প্রাপ্তির সম্ভাবনা ঘটে, সুতরাং প্রেতাত্মা যখন স্বার্থসম্পর্কে জড়িত পুরােহিতের বাগযন্ত্র সাহায্যে আশীর্বাণী