পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিব্বতীয়দিগের কথা ক। তিব্বতীয়দিগেৱ ধৰ্ম্মভাবঃ রামায়ণ মহাভারতে উল্লিখিত বিবরণ অনুসারে বর্তমান তিব্বতকে পুরাকালের যক্ষাধিকৃত দেশ বলিয়া নির্দেশ করা যাইতে পারে এবং তিব্বতীয়গণের আজন্মলব্ধ ধর্মভাব লক্ষ্য করিলে তাহাদিগকে স্বতঃই ধৰ্ম্মশীল যক্ষজাতির বংশধর বলিয়া প্রতীতি জন্মে।

  • জলের রক্ষাবিধান কাৰ্য্যে নিয়ােজিত প্রাণিগণের মধ্যে যাহারা “ক্ষাম” অর্থাৎ পূজা করিব বলিয়াছিল তাহারা ব্ৰহ্মা। প্রজাপতি কর্তৃক “ক্ষ” নামে অভিহিত এবং পরে আপনাদিগের ধর্মনিষ্ঠতার নিমিত্ত অগস্ত্যাদি মুনিগণ কর্তৃক জগতে ধৰ্ম্মশীল বলিয়া কীৰ্তিত হইয়াছিল। বর্তমান তিব্বতীয়গণও উত্তরাধিকার সূত্রে যক্ষচরিত্রের এ স্বভাবসিদ্ধ গুণরাশি প্রাপ্ত হইয়া, পূর্বপুরুষগণের ন্যায় ধৰ্ম্মনিষ্ঠতার নিমিত্ত সভ্যজগতে বিশেষ খ্যাতি লাভ করিয়াছে।

History of Indian Architecture নামক পুস্তকে। মিঃ ফাগুসান “তিব্বতীয়গণের ধর্মশীলতা লক্ষ্য করিয়া লিখিয়াছেন : L মূল রামায়ণ-অনুবাদ—উত্তরাকাণ্ড—৪র্থ সর্গ ৩, ১৫ সৰ্গ।২