পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দণ্ডবিধি ৫৫ পূৰ্ব্বক গােরের ভিতর দণ্ডায়মান ভাবে স্থাপিত করিয়া গর্তটি মৃত্তিকা ও প্রস্তর দ্বারা পূর্ণ করিয়া দেওয়া হয়। | নিতান্ত নিঃসম্বল দরিদ্র ব্যতীত প্রায় সকলেই সমাধি স্থলে প্রস্তর নির্মিত স্তম্ভ বা “মানেগুম্পা” নির্মাণ করাইয়া তদুপরি ধ্যানীবুদ্ধমূর্তি স্থাপন করিয়া থাকেন। যে সকল শব গৃধের জন্য উৎসর্গীকৃত হয় সে গুলিকে প্রথমতঃ । তীক্ষ্ণধার অস্ত্র সাহায্যে গােলাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডে বিভক্ত করিয়া অস্থি ও মস্তক প্রভৃতি কঠিন অংশ গুলিকে প্রস্তরে পিষিয়া পিণ্ডাকারে পরিণত করা হয়। সম্পূর্ণ শবদেহটিকে এইরূপে গৃ ব্রভােজনের উপযােগী করিয়া লামা দূর হইতে স-পারিষদ গৃধ্রুরাজকে শাস্ত্রোক্ত মন্ত্রে স্তবস্তুতি ও আবাহন। করিতে থাকেন। তাহার ভক্তিপূর্ণ আবাহনে হউক, অথবা শবমাংস ভ্রাণে আকৃষ্ট হইয়াই হউক, গৃগণ অনতিবিলম্বে শবসন্নিধানে উপস্থিত হইয়া মাংসখণ্ড গুলিকে নিঃশেষে ভােজন করিয়া ফেলে। এই প্রথা ব্রিটীশ আইনানুমােদিত নহে বলিয়া এদেশে প্রবাসী তিব্বতীয়গণ কর্তৃক পরিত্যক্ত হইয়াছে। দার্জিলিংএ তিস্তা, রঙ্গিত প্রভৃতি খরস্রোতা নদী বর্তমান থাকা সত্ত্বেও ইহার কোনটি গভীর নহে বলিয়া এদেশে কাহাকেও নদীতে শব নিক্ষেপ করিতে দেখা যায় না। তিব্বতীয়গণের আর একটি বিশেষত্ব এই যে, মৃত্যুকালে মৃতব্যক্তির অঙ্গে যে সকল বস্ত্রালঙ্কার বর্তমান থাকে, তাহ। যতই মূল্যবান হউক,