পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দার্জিলিংএর পার্বত্যজাতি উন্মােচন করিয়া লওয়া হয় না। শব সৎকার সময়ে ডোেম, গণ উহা গ্রহণ করিয়া থাকে। শব-সত্তারকারিগণের নিমিত্ত মৃতের গৃহ হইতে জারমদ্য, পিষ্টক, মাংস প্রভৃতি নানারূপ আহাৰ্য্য সামগ্রী প্রচুর পরিমাণে মুর্দা পাহাড়ে প্রেরিত হয়। (ঘ) তিব্বতীম্নগণের মাংস ভােজন - | “অহিংসা পরম ধৰ্ম” বৌদ্ধধর্মের মূলমন্ত্র হইলেও তিব্বতীয়গণ কখনও মাংস ভােজনে বিরত থাকে না। কিন্তু ইহাদিগের মাংস ভােজনের বিশেষত্ব এই যে, ইহারা দেশে মেষ ব্যতীত অপর কোন পশুর মাংস গ্রহণ করে না এবং কখনও সদ্যোমাংস আহার করে না। পশু নিহত করিয়া ইহারা শবদেহগুলি সংবৎসরের ব্যবহারের নিমিত্ত রন্ধনশালায় অগ্নিস্থানের উপরিদেশে ঝুলাইয়া রাখে এবং প্রয়ােজনমত ঐ শুষ্কমাংসের কিয়দংশ গ্রহণ করিয়া মাখন, চা, চিনি ও পিষ্টক সংযােগে খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুত করে। | বিদেশবাসী তিব্বতীয় ঔপনিবেশিক অথবা প্রবাসীদিগের মধ্যে এ বিষয়ের যথেষ্ট ব্যতিক্রম লক্ষিত হয়। এতদ্দেশে একমাত্র গাে-মাংস ব্যতীত অপর সকলপ্রকার মাংসই তাহাদিগকে গ্রহণ করিতে দেখা যায়। (ঙ) রীতিনীতি ও আচার ব্যবহার ঃ| সুরাপান ধৰ্ম্মশাস্ত্র বিরুদ্ধ হইলেও তিব্বতীয়গণ পানাসক্তি পরিহার করিতে সমর্থ হয় নাই। ইহারা সর্ষপাকার