পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিব্বতীয় বিবাহ একান্নবত্তি পরিবার ৫৯ বাগানের নিদর্শন স্বরূপ কন্যাকে “বকু” অর্থাৎ পরিচ্ছদ এবং কন্যার পিতাকে পাত্ৰীমূল্য স্বরূপ কিঞ্চিৎ পণ প্রদান করিয়া থাকেন। লামা কর্তৃক নির্ধারিত দিনে বর উত্তম বেশভূষায় সজ্জিত হইয়া, সদলবলে অশ্বারােহণে কন্যার বাটিতে আসিয়া উপনীত হন। উভয়পক্ষের আর্থিক সঙ্গতি অনুসারে বিবাহােপলক্ষে বিশেষ ধূমধামের সহিত দেবাৰ্চ্চনা ও আমােদ প্রমমাদের বিশেষ আয়ােজন হইয়া থাকে। আত্মীয় কুটম্বগণ সকলে একত্র হইয়া মহােল্লাসে পানভােজন করিতে থাকেন, এবং ব্যবসায়ী নর্তকগণ, ময়ুর, সিংহ, ব্যাঘ্র, ষণ্ড, ভল্লুক, দৈত্য, ভূত প্রভৃতি সাজে সজ্জিত হইয়া নানারূপ নৃত্যকৌশল ও কৌতুক প্রদর্শন দ্বারা তাহাদিগের আনন্দ বর্ধনে ব্যাপৃত হয়। বৈদেশিকগণ তিব্বতীয়দিগের এ মুখােস পরা নৃত্যকে Tibetan Davil Dance বলিয়া থাকে। লামা আসিয়া সকলের সমক্ষে দম্পতিকে স্বামী। স্ত্রী বলিয়া ঘােষণা করিলে বিবাহ কাৰ্য সম্পন্ন হইয়া যায়। পরিবারের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰই কেবল বিবাহের অধিকারী এবং জ্যেষ্ঠ কর্তৃক পরিণীতা পত্নীই কনিষ্ঠগণের পত্নীরূপে

  • পাণ্ডবগণের মধ্যে তিব্বতীয় বিবাহের অনুরূপ প্রথা লক্ষ্য করিয়া আধুনিক পণ্ডিতগণ তাহাদিগকে “লিচ্চাভি” বংশ সম্ভুত বলিয়া অনুমান করেন।