পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দার্জিলিংএর পার্বত্যজাতি পরিগণিত হইয়া থাকেন। কিন্তু দেবরগণের অঙ্কশায়িনী' হওয়া একমাত্র স্ত্রীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। পত্নীর জীবদ্দশায় বিবাহিত স্বামী আর দ্বিতীয়বার দারপরিগ্রহ করিতে পারেন না, কিন্তু তাহার যথেচ্ছ উপপত্নী। গ্রহণে কাহারও কোনরূপ আপত্তি বা বাধা প্রদান করিবার অধিকার নাই । কনিষ্ঠগণ প্রত্যেকে পৃথক পৃথক্ স্ত্রী গ্রহণ করিতে পারেন, কিন্তু তাহাদিগের সন্তান সন্ততিগণের কেহই পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তির অধিকারী হয় না। জ্যেষ্ঠের পত্নীই সংসারের সর্বময়ী কত্রী, এবং পরিবারের অপরাপর স্ত্রীলােকেরা সকল বিষয়েই তঁাহার আজ্ঞানুবর্তিনী হইয়া চলিয়া থাকে। জ্যেষ্ঠ পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইলেও উহা যথেচ্ছ ব্যয় বা নষ্ট করিবার অধিকার তাহার নাই। সম্পত্তির সংরক্ষণ ও পরিবারভূক্ত ব্যক্তিগণের প্রতিপালন জন্য জ্যেষ্ঠ রাজদ্বারে দায়ী । পরিবারের কেহ একান্নভূক্ত পরিবার হইতে স্বেচ্ছায় পৃথক হইয়া গেলে, পরিবারের সহিত তাহার সকল সম্পর্ক ও বাধ্যবাধকতার অবসান হইয়া যায়। পরিবারের কেহই অলসভাবে দিনাতিপাত করে না, সকলেই কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ উপার্জন করিয়া পরিবারের যৌথ ধন সম্পত্তির উন্নতি ও শ্রীবৃদ্ধি সাধনে তৎপর হয়। জ্যেষ্ঠের লােকান্তর প্রাপ্তি ঘটিলে, ভ্রাতৃগণের মধ্যে যে তৎপত্নী কর্তৃক