পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিব্বতীয় বিবাহ ও একান্নবর্তী পরিবার ৬১ পতিত্বে বৃত হয়, সেই জ্যেষ্ঠের স্থলাভিষিক্ত হইয়া সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিবার প্রতিপালনের ভার গ্রহণ করিয়া থাকে। নূতন সম্পর্কে যিনি ভাশুর স্থলাভিষিক্ত হন, তিনি পরিবারের অন্যান্য লােক হইতে স্বতন্ত্র বাসের বন্দোবস্ত করেন। দেশের আইনানুসারে একান্নবর্তী পরিবারে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতৃবধূর কর্তৃত্বাধীনে বাস করিতে হয় বলিয়া এবং পৈতৃক সম্পত্তির অংশবিভাগ প্রথার প্রচলন না থাকা বশতঃ সকলেই মিলিয়া মিশিয়া একত্রবাস করিতে চেষ্টা করে। ফলে স্ব স্ব প্রাধান্যলােলুপ হতভাগ্য বাঙ্গালী দিগের ন্যায় একান্নবর্তী পরিবার দু’দিনে ছিন্ন ভিন্ন হইয়া যায় না। বর্তমানে, এক স্ত্রীর বহুম্বামীত্ব অর্থাৎ polyandry প্রথার একরূপ লােপপ্রাপ্তি ঘটিয়াছে বলিয়া শুনা যায়।