পাতা:দাশরথি - বিপিনবিহারী রায়.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সৰ্গ । হস্ত স্বরূপ থাকাতে সমস্ত সঙ্কট হইতে পরিত্রগণ পাইয়া ছিলাম। এক্ষণে আর কে আমায় সহায়তা কবিবে? বুঝিলাম, আজীবন ক্লেশভোগের জন্যই বিধাতা আমাকে স্বষ্টি করিয়াছিলেন ; বিধাতারই বা দোষ কি, আমি পূৰ্ব্বজন্মে কত মহাপুরুষকে ভ্রাতৃ-হীন, পিতৃ-হীন ও জায়া-হীন করিয়াছিলাম, সেই জন্য এজন্মে এতাদৃশ দুঃখভোগ করিতে হইল। আরও বিধাতার মনে কি আছে বলিতে পাবি না। ভগবানেব ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাৰ্য্য করা কাহার সাধ্য ? বিশ্বপতি বিধাতার শুভকর মুনিয়ম পথে আমার অদৃষ্ট-চক্র নিয়তই ঘূর্ণিত হইতেছে। হয়ত ভাঁহার কোন অপ্রিয় কাৰ্য্য করিয়া থাকিব, নতুবা ভ্ৰাতৃবিচ্ছেদ ঘটিল কেন ? অথবা আর আমার শোকের প্রয়োজন কি, পরমেশ্বরের অভিলাষ সম্পন্ন হউক । এইরূপ বিলাপ করিতে করিতে রামচন্দ্র পুনর্বার মুছিত হইলেন। কৌশল্যার নয়নযুগল হইতে বাষ্পবারি নির্গত হইয়া, বক্ষঃস্থল প্লাবিত হইয় গেল । তিনি প্রাণাপেক্ষ প্রিয়তর রামচন্দ্রের চৈতন্য সম্পাদনের নিমিত্ত কৃতাঞ্জলিপুটে ঈশ্বর সমীপে বারংবার প্রার্থনা কবিতে লাগিলেন । অল্পক্ষণ মধ্যে রামচন্দ্র