পাতা:দিনাজপুর পত্রিকা - প্রথম ভাগ.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s. দিনাজপুর পত্রিকা। (১ম ভাগ,৩য় সংখ্যা । প্রাচীন আর্য্য পরিচ্ছদ । পরিচ্ছদের দ্বারাই প্রমাণীকৃত হয় মে কোন জাতি অসভ্য অবস্থা হইতে সভ্যের গোপানে অধিরোহণ করিয়াছেন। যদি ও জলবায়ু ও অন্তান্ত কারণে দেশ ভেদে পরিছদের তারতম্য হইয়া থাকে, তথাপি একথা স্বীকাৰ্য যে প্রত্যেক জাতি আমি অসভ্য অবস্থায় পশু-চৰ্ম্ম পরিধান করিত। কিন্তু কাল ক্রমে স্বশিক্ষিত হইয়া পশু-চৰ্ম্ম পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক সভ্যতা স্বচক পরিচ্ছদ পরিধানের স্বত্রপাত করিলেন। প্রাচীন ইতিহাস পাঠে অবগত হওয়া যায় যে হিন্দু জাতি অতি প্রথমাবস্থা হইতেই পরিচ্ছদ বিষয়ে উৎকর্ষতা লাভ করিয়াছিলেন। ইহার কেবল লজ্জা নিবারণোপযোগী বস্ত্র বয়ন করিতেন এমন নহে, জাক জমকের জষ্ঠ ও চিত্র বিচিত্র পরিচ্ছদ প্রস্তুত করিতেন। ঋগ্বেদ সংহিতায় রাত্রি তমসরূপ নীল বস্ত্র পরিহিতা অবগুণ্ঠনবতী রমণীর ন্তায় বর্ণিত হইয়াছে। উক্ত সংহিতায় স্থলস্তিরে উষ্ণ দেবীর সম্বন্ধে এই রূপ বর্ণনা দৃষ্ট হয় ৰে বিচিত্র বস্ত্র পরিহিত অবগুণ্ঠনবতী লজ্জা লীলা নববধূগণ যে রূপ অধরে মৃদ্ধ মধুর शत्र रिकॉन कब्रिज्ञा शैश् चांशैत्र ग्रनखहै সাধন মানলে আপনার রূপরাশি দেখাইবার দিমিত্ত দ্বীয়, স্বামীর সমীপে অগ্রসর হন, সেইরূপ ঊষাদেবী বিচিত্র রক্ত বসনে ভূষিত। হইয়। স্বীয় স্বামী স্বৰ্য্য সকাশে গমন করিতেছেন । এই ২ট রূপ বর্ণণা দ্বারা উপলদ্ধি হইতেছে যে হিন্দু জাতি সংহিতাদি প্রণয়ণ হওয়ায় পূৰ্ব্ব হইতেই পরিচ্ছদ বিষয়ে উৎকর্ষতা লাভ করিয়া ছিলেন। আর্ঘ্য জাতির অভু্যদয়ের অব্যবহিত পরেই যে ঋগ্বেদ সংহিতা লিপিবদ্ধ হইয়াছে, তৎ বিষয়ে কোনই সন্দেহ নাই। সুতরাং ইহা স্পষ্টই দেখ যাইতেছে যে, হিন্দু জাতি সৰ্ব্ব প্রথমেই পরিচ্ছদ প্রস্তুত করণের কৌশলাদি অবগত ছিলেন। কি কি উপকরণে কি কি প্রকার বস্ত্র প্রস্তুত করিতেন, তদ্বিষয় নিম্নে লিখিত হইল। - পরিধেয় বস্ত্র কি উপকরণে নিৰ্ম্মিত হইত ঋগ্বেদে তাহার কোনই আভাস পাওয়া যায় না। কার্পাসের বিষয় কোথায় ও বর্ণিত হয় নাই। গৃহ পালিত জন্তুদিগের মধ্যে ছাগাদির উল্লেখ পাওয়া যায় বটে, কিন্তু তাহারা বস্ত্রের নিমিত্ত রক্ষিত হইতনা । যাহা হউক, সম্ভবতঃ কাপাস ও পণ্ডলোম উভয়ই বস্ত্র বয়নে ব্যবহৃত হইত। কারণ, বয়নোপযোগী উপকরণ ব্যতিরেকে বৈদিক ভাষায় “ বয়ন ’ শব্দের প্রয়োগ (যদি ও বহুল নহে) এবং উৎপত্তি কদাচ সম্ভব