পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰকাশকের নিবেদন “দিনের পর দিন" কথাশিলপী বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের সেই অনন্য রচনাসমস্ত দিনলিপিগলির একত্র সংকলন। বিভূতিভূষণের এই ডায়েরী বা দিনলিপিধমী গ্রন্থগলি বাংলা সাহিত্যে অনন্য বলছি কেন ? ভাষার গম্ভীর সারলো, চিন্তার ঐবিযে, লেখকের সন্টি-কল্পনার সম্পভারে এবং সবচেয়ে ঈশবর ও তাঁর সন্টির চিন্তায় —কতকটা সমাহিত অবস্থার অনভূতিতে এই গ্রন্থগলি অপরিসীম মাল্যবান। প্রমথনাথ বিশী বলেছেন, রিভুতিভূষণের এই দিনলিপি জাতীয় রচনাগলি একদেহে রোজনামচা, ভ্ৰমণকাহিনী, গল্প ও আত্মচিন্তা।. এইসব রচনার ফলশ্রুতি একটি পরিপর্ণ রচনাপাঠের আনন্দলাভ।'. গল্পের বদলে নিজের ব্যক্তিত্বটিকে প্রায় দেবত্বরসে জারিয়ে বিতরণ করেছেন পাঠকদের পাতে। দিনলিপি’র একস্থানে বিভূতিভূষণ স্বয়ং বলেছেন, "কখনো সখে, কখনো দঃখে, গহন পবিতারণো বা জনকোলাহলমােখর নগরীতে, বিভিন্ন মানষের সংস্পশে বা শান্ত নিঃসঙ্গতার মধ্যে মন, যেখানে নিজেকে লইয়াই বাস্ত ছিল--এইসব রচনার সন্টি সেখানে।” অধ্যাপক জিতেন্দ্ৰনাথ চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন, "জীবন সাধনার ফলশ্রুতি আনন্দ। এই আনন্দের সাময়িক অনভূতি বিভূতিভূষণের জীবনে বহবার এসেছে। দিনলিপির একাধিকস্থানে আছে এই অপার্থিব আনন্দ মাহতের বণনা। ঈশবর, মানষি ও প্রকৃতি এই ত্রিতত্ত্ব সমন্বিত চেতনাকেই বিভূতিভূষণ সত্যকার জীবনচেতনা বলে মনে করেছেন।" অধ্যাপক তারাপদ মখোপাধ্যায়ের মতে, ‘দিনলিপিগলির সাহিতামােলা ছাড়াও শিল্পীর অন্তজীবনের পরিচয়ের জন্য বিভূতি-সাহিত্যের অন্যরাগী পাঠকের কাছে এগলি অপরিহাষ। উপন্যাস ও ছোটগলেপির অনেক আইডিয়ার নেপথ্যের রােপ পাওয়া যাবে দিনলিপিগলিতে এগলি প্রকৃত বিচারে শিল্পীর আত্মজীবনী।” আর চরম কথা বলেছেন, পরিমল গোস্বামী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে এ সাহিত্য এদেশে চাঁদ লেখা হয় নি, সম্ভবত আর কখনো হবেও না।” “ 8