উচু হয়। অনেকখানি, ডালপালাও কেয়োঝাঁকার চেয়ে অনেক মজবত। শােধ অবিশিষ্ট এই গাছগলি কোপ তৈরি করে না, যদি গাছের মাথায় অন্য লতা না ওঠে। কিন্তু বাংলাদেশের জঙ্গলে বন-কলমী, ঢোল-কলমী, কেলে-কোঁড়া, বন-মরচে, বন-সিম, অপরাজিতা, ছোট গোয়ালে, বড় গোয়ালে প্রভৃতি লতা সব্বদাই আশ্রয় খাঁজে বেড়াচ্চে অন্য গাছের, অবিবাহিতা মেয়েদের মতো। এদের মধ্যে সব লতারই চমৎকার ফল ফোটে, কোনো কোনো ফলের মধর সাবাসও আছে, যেমন কেলে-কোঁড়া ও বন-মরচে লতার ফল। পাপপ্রসবের সময়ে এই সব লতা যখন ছোটবড় ঝোপের মাথা নীল, সাদা, ভায়োলেট রঙের ফলে ছেয়ে রাখে তখন নদী-প্রান্তবতী বন বহন্দরের আভাস এনে দেয় মনে। মগধ নীল আকাশের তলায় এদের পাশে বসে যেন সারাজীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়, কত কি সর্বপ্ন যে এরা মনে আনে। বিলোতে আমেরিকায় ঝোপের মাল্য বোঝে, তাই বড় আধনিক ধরনের বাগানে ঝোপ রচনা করবার মতো গাছপালা পতে দেয়। বাগান আর্টিস্টিক ভাবে তৈরি করবার জন্যে ওদের দেশে একজাতীয় শিলপী আছেন, তাদের garden architect বলে। এরা মোটা মজরি নিয়ে অতি চমৎকার ভাবে তোমার আমার বাগান তৈরি করে দেবে। ফলের বাগান নয়, সদশ্য ফল ও অন্যান্য গাছের বাগান। এই বাগানে ঝোপের বড় দাম। সাধারণত দ-ধরনের ঝোপ এই সব বাগানে করা: হয়, Arbour জাতীয়,Pergola- জাতীয়। শেষোক্ত শ্রেণীকে ঠিক আমাদের পরিচিত। ধরনের ঝোপ বলা যায় না, কারণ ওটা হচ্চে লতাপাতা দিয়ে ছাওয়া ভ্রমণপথ, অনেকটা আমাদের পাই-মাচার মতো, তলা দিয়ে পাথর বাঁধানো রাস্তা, খাটির বদলে অনেক বাগানে (যেমন কালিফোনিয়ার বিখ্যাত মিসেস নাইটের বাগান, ইতালির অনেক গলি মধ্যযাগের জমিদার বা ডিউকদের বাগান)। মকেবল পাথরের থাম দেওয়া। সাধারণত ডন রোজ, হিনি-সাকল প্রভৃতি লতানে গাছ Pergolaার মাচায় উঠিয়ে দেওয়া হয়। আজকাল পশ্চিম চীন থেকে আমদানি ক্লিম্যাটিস অ্যারামান্ডি নামক সগন্ধিপািপযক্ত লতার খাব আদর। তা ছাড়া যাকে বলে স্যান্ডউইচ, আইল্যান্ড ক্লীপাের, সে জাতীয় পন্ডিপত লতারও খািব চল হয়েচে এই উভয়জাতীয় ঝোপ রচনার <ICG Beaumontia grandiflora Na arpers at IGN sigg (No 2 (3. থাকে। আমি বিখ্যাত উদ্যানশিলপী সার এডউইন লাটেনসের রচিত একটি ঝোপের ছবি দেখেছিলাম কয়েক বৎসর পাবে, তাতে যে শিলপপ্রতিভা ও সরকুমার সৌন্দৰ্যজ্ঞানের পরিচয় ছিল, মন থেকে সে ছবি কখনও মছে যাবার নয়। এই সব বাগানের ঝোপ যত পােরনো হবে, ততই তার দাম হয়। লতা আরও নিবিড় হয়ে ওঠে, গ্ৰীস্মমন্ডলের বন থেকে আমদানি কাঠযন্ত লায়ানাগলি খাব মোটা হয়, সন্দরী তরণীর মাখের আশেপাশের কুণ্ডিত অগোছালো অলীকদমের মতো তাদের নতুন গজানো আগডালগলি Pergola এর Arbour- মাচা ছাড়িয়ে দােপাশে বলে পড়ে। অথচ বাংলাদেশে। কত নদীতীরের মাঠে, কত বাঁশবনের শ্যামল ছায়ায় অযত্নসম্পভূত অদভুত ধরনের ঝোপরাজি কত যে ছড়ানো, প্রকৃতিই স্বয়ং সেখানে garden architect-- কত পােরনো ঝোপও আছে তাদের মধ্যে-আমাদের গ্রামেই আমি এমন সব কেয়োঝাঁকার ঝোপ দেখোঁচ-যা আমার বাল্য দিনগলিতে যেমন ছিল, আজও তেমনি আছে, কিন্তু কে তাদের মল্যে দেয়। এদেশে ? আব্দর তো করেই না, বরং গালাগালি দেয়-ওরাই নাকি ম্যালেরিয়া সন্টি করেচে। AG
